ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

উপহারে পাওয়া বহুমূল্য ঘড়ি মোটা টাকায় বিক্রি! ফের বিতর্কে ইমরান খান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:১১ পিএম

উপহারে পাওয়া বহুমূল্য ঘড়ি মোটা টাকায় বিক্রি! ফের বিতর্কে ইমরান খান

উপহারে পাওয়া বহুমূল্য ঘড়ি মোটা টাকায় বিক্রি! ফের বিতর্কে ইমরান খান

 ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন আল সুদ একটি বহুমূল‌্য ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন ইমরান খানকে (Imran Khan)। দুবাইয়ের এক ব‌্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, সৌদির প্রিন্সের উপহার দেওয়া সেই ঘড়ি তিনি কিনে নিয়েছেন।

উমর ফারুক জহুর নামের সেই ব‌্যবসায়ী দাবি করেছেন, ইমরান খানের সেই বহুমূল‌্য ঘড়িটি তিনি কিনেছেন ২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। যখন তিনি ঘড়িটি কেনেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান। ২০১৯ সালে এই ঘড়িটি কেনেন বলে দাবি করেছেন দুবাইয়ের ব‌্যবসায়ী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সৌদি আরব (Saudi Arab) সফরে গিয়েছিলেন ইমরান। সেই সময়ই তাঁকে এই উপহার দেওয়া হয়।

জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে দুবাইয়ের ব‌্যবসায়ী দাবি করেছেন, তৎকালীন পাক সরকারের মন্ত্রী মির্জা শাহজাদ আকবর তাঁকে বলেছিলেন, তিনি ঘড়িটি কিনতে আগ্রহী কি না। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করলে ইমরান খানের স্ত্রী বুশারা বিবি (Bushra Bibi) খানের ঘনিষ্ঠ ফারাহ ঘড়িটি নিয়ে আসেন। জহুরের দাবি, ঘড়িটি ছিল খুবই মূল‌্যবান এবং বিরল। সেটি মোটা দামে কিনে নেন তিনি। ঘড়ি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের ‘তোষাখানা’ বিতর্ক ফের সামনে চলে এসেছে।

ইমরানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী সরকারি ভান্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের (Pakistan) আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়। এর আগেও তোষাখানার সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে এ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধীরাও।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে