অচেনা এক দেশের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা

লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি নিজেদের ঘরে এনেছে আর্জেন্টিনা। এরপর দেশে ফিরে বিরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছে। তবে সেই সোনালি ট্রফি ঘরের সমর্থকদের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। যার জন্য ঘরের মাটিতে দুটি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে বাধ সেধেছিল পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্বের ম্যাচ হওয়ার কথায়।

কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বের ম্যাচ মার্চের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে নিয়ে যাওয়ায় দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু তার সময় ও প্রতিপক্ষকে তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেই দুই প্রতিপক্ষ ও ম্যাচের তারিখ জানা গিয়েছে।

আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম মুন্দো আলবিসেলেস্তে জানাচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা তাদের দুটি ম্যাচ খেলবে ২৩ ও ২৬ মার্চ। যেখানে এক প্রতিপক্ষ বেশ চেনাজানা হলেও আরেক প্রতিপক্ষকে অনেকেই চেনে না। প্রথম ম্যাচটি তারা খেলবে মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার বিপক্ষে। আর দ্বিতীয় ম্যাচটির প্রতিপক্ষ দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরের দেশ কুরাকাওয়ের বিপক্ষে।

পানামার সঙ্গে ম্যাচটি আর্জেন্টিনা বুয়েন্স এইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে। আর কুরাকাওয়ের সঙ্গে ম্যাচটি খেলবে কর্দোবার মারিও ক্যাম্পাস স্টেডিয়ামে।

মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত হলেও কুরাকাওয়ের সঙ্গে মানুষের পরিচিত খুব একটা বেশি না। তারা মূলত ওলান্দাজ হলেও কনকাফ অঞ্চলের দল। এই দেশটিকে ডাচ ক্যারিবিয়ান দেশও বলা হয়। দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর এবং ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের একটি দ্বীপ হচ্ছে কুরাকাও। এখানে আরও কিছু দ্বীপ রয়েছে, এই দ্বীপগুলোকে ডাচ ক্যারিবিয়ান দেশ বলা হয়।

এই দেশটি ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮৬তম স্থানের দেশ। দেশটির জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজারের কিছু বেশি। দেশটির আয়তন ১৭১ বর্গ মাইল। এই ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই কুরাকাওয়ের ইতিহাসের সেরা একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তাই দেশটির ফুটবলাররা এই ম্যাচটি খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news