তারকা ফুটবলার আলী করিমির উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
ইরানে হিজাব ইস্যুতে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ায় দেশটির তারকা ফুটবলার আলী করিমি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফাঁস হওয়া এক নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের সমালোচনাকারীদের অন্যতম একজন ছিলেন আলী করিমি। ওই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতেন এশিয়ার ম্যারাডোনা হিসেবে পরিচিত এই ফুটবলার।
ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, করিমিকে আমাদের এজেন্ট নয়বার ইরানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি গুরুতর সতর্কতা পেয়েছেন। ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবরের টপ সিক্রেট চিহ্নিত ওই চিঠিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দা ইউনিট তেহরানের প্রসিকিউটরকে জানায়, করিমি তার স্ত্রী সাহার দাভারি এবং তার পরিবার দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল।
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ইরান কমিউনিস্ট তুদেহ পার্টির সদস্য হওয়ার অভিযোগে কারিমির স্ত্রী দাভারির বাবা গোলামালী দাভারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় তিনি ইরানের বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন।
নথিতে দাবি করা হয়েছে, করিমির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা স্থায়ীভাবে দেশত্যাগ করার জন্য রাজধানী তেহরানের একটি সমৃদ্ধ এলাকায় তাদের প্রাসাদটি ২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করতে চেয়েছিল।
নথিতে কারিমি, দাভারি, তার মা, সৎ বাবা, ভাই এবং বোনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল বিপ্লবী গার্ড। ফাঁস হওয়া চিঠিটি বিবিসি ফার্সিকে দিয়েছে এদালাত-ই আলী নামে একটি হ্যাকিং গ্রুপ। করিমি বিবিসি ফার্সিকে একটি ফোন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বড় ভাইকেও বেশ কয়েকবার ডাকা হয়েছিল। তাকে দেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।
অক্টোবরের গোড়ার দিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও দাবি করে যে করিমি লাভাসনে তার প্রাসাদ বিক্রি করেছেন। তবে করিমি বিবিসি ফার্সিকে বলেছেন, এটি সত্য নয়।
মাহসা আমিনি নামের ২২ বছরের এক কুর্দি তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বছর ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে তেহরানে গ্রেফতার হন মাহসা। পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
এনবিএস/ওডে/সি