স্প্যানিশ-বাংলা ফুটবল অভিধানের মোড়ক উন্মোচন করলেন স্পেনের রাষ্টদূত

 বাংলাদেশের ফুটবলে আগ্রগতি না হলেও, ফুবটলের অগণিত ভক্ত রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে যার প্রমাণ পেয়েছে সারাবিশ্ব। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ভক্তদের দ্বৈরথের ঘটনা আমাদের সবার জানা। যা দুই দেশের লড়াই থেকে ক্লাব ফুটবলেও বিরাজ করছে। স্প্যানিশ লা লিগার এল ক্লাসিকোর লড়াই তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ। যার ফলে বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য লা লিগা ও ঢাকায় অবস্থিত স্প্যানিশ দূতাবাস মিলে তৈরি করেছে একটি অভিধান। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্প্যানিশ-বাংলা ফুটবল অভিধান’।

মঙ্গলবার স্প্যানিশ দূতাবাসে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মূলত এই অভিধানে লা লিগার সবগুলো ক্লাব এবং ফুটবলের নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে স্প্যানিশ থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এই বই তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইন্সটিটিউটের স্প্যানিশ বিভাগের শিক্ষক আমপারো পোর্তো। গত ১২ বছর ধরে আমপারো পোর্তো এখানে স্প্যানিশ ভাষার শিক্ষা দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো বেনিতেজ সালাস, লা লিগা ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসে আন্তোনিও ক্যাসাজা, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো বেনিতেজ সালাস বলেন, বাংলাদেশে ফুটবলের বিপুল জনপ্রিয়তা এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সম্পর্কের দৃঢ়তা গড়ে তুলতে হবে। ফুটবলকে সাধারণ যোগসূত্র হিসেবে নিয়ে, এই উদ্যোগগুলো শুধু বিদ্যমান সম্পর্ককেই মজবুত করবে না, সেই সঙ্গে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার বিকাশ, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও মর্ম উপলব্ধিতে ভূমিকা রাখবে, খুলে দেবে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইন্সটিটিউটের স্প্যানিশ বিভাগের শিক্ষক আমপারো পোর্তো। তিনি বলেন, স্পেনে এই খেলা কতটা গভীরভাবে প্রোথিত তা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। কিন্তু বাংলাদেশে স্পেনের ফুটবল ও লা লিগার জনপ্রিয়তা সত্যিই বিস্ময়কর। আমরা গত ১২ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা দিচ্ছি এবং আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আমাদের পাঠে অংশ নিয়েছে, কারণ তারা লা লিগার ভক্ত। এর মানে হচ্ছে তারা প্রথমে সের্হিও রামোস সম্পর্কে জেনেছে, কিন্তু এখন তারা মিগেল দে সার্ভান্তেসকেও (স্প্যানিশ লেখক) চেনে।

লা লিগা এই অঞ্চলে এ বছর তৃতীয় অনুবাদ কার্যক্রম হিসেবে স্প্যানিশ-বাংলা অভিধানটি নিয়ে এসেছে। এর আগে সম্প্রতি ভারতে উন্মোচন হয়েছে স্প্যানিশ-বাংলা ও স্প্যানিশ-হিন্দি ফুটবল অভিধান। তারও আগে প্রকাশ হয়েছে চীনা, আরবি, হাঙ্গেরিয়ান ও জাপানিজসহ অন্য কয়েকটি ভাষায়।

এনবিএস/ওডে/সি

news