আরো অনেক মেয়ে ফুটবল খেলা ছেড়ে দেবেন: সাজেদা খাতুন

গত বছর দেশের জনপ্রিয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে নেপালের মাটিতে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মেয়েদের এমন অর্জনে ফুটবলারদের ছাদ খোলা বাসে সম্মাননা দিয়েছিলো বাফুফে। এরপর নারী ফুটবলের প্রত্যাশা করছিলো দেশের ফুটবল ভক্তরা। তবে বাফুফের অপেশাদার আচরণে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পর্ব খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় নারী  ফুটবলাররা।

ওই সাফজয়ী দলের সদস্য আনুচিং মোগিনি ও সাজেদা খাতুন অভিমানে ফুটবলকে বিদায় জানান। এরপর তাদেরকে সঙ্গ দিয়ে শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেইজে অবসরের কথা জানায় দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না। তারপরই নারী দলের কোচ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা জানায়।

সাফজয়ী দলের ভাঙনের কারণ ও নিজের অবসর নিয়ে স্বপ্না কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও কিছুদিন আগে ফুটবল ছেড়ে দেওয়া জাতীয় দলের আরেক নারী ফুটবলার সাজেদা খাতুন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে ফুটবলে মেয়েদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে দাবি করেছেন সাজেদা।
সাজেদা বলেন, একটু অপেক্ষা করেন। আরো অনেক মেয়ে খেলা ছেড়ে দেবে। আমাদের দেশে নারী ফুটবলের কিছু আছে? আমি জিজ্ঞেস করতে চাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী ফুটবলারদের কিছু দিয়েছে। এখানে কোন আশা নাই।

গেল বছর সেপ্টেম্বরে সাফের শিরোপা জেতার পর নারী ফুটবলারদের নিয়ে আকাশচুম্বি প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছিল সবাই। কিন্তু সেসব কথা রাখতে পারেনি বাফুফে। আর্থিক সংকটের নাটক সাজিয়ে গত মার্চে সাবিনাদের মিয়ানমার পাঠায়নি বাফুফে। সেপ্টেম্বরে নেপালে সাফ জেতার পর আর মাঠে নামা হয়নি সাবিনা-কৃষ্ণাদের। এ মাসেই মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হওয়ার কথা বললেও তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কবে নাগাদ এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে, তা বলতে পারছেন না কেউই।

তিনি আরো বলেন, আমরা কেন ফুটবল খেলি। সারা জীবন শুধু ক্যাম্পই করব? সাফ জেতার পর ফুটবলারদের জন্য কিছুই আয়োজন করা হয়নি। আছি আমরা ফুটবলের জন্য, সেই ফুটবল খেলাই তো হয় না। অলিম্পিক বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ ছিল। ফেডারেশনের অবহেলায় সেটাও হয়নি। তাদের জিজ্ঞেস করে দেখেন, খালি এই সমস্যা, ওই সমস্যা বলবে। তাহলে কেন মেয়েরা আগামীতে ফুটবল খেলবে? সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করে এসব কথা বলেন এই ফুটবলার।

এনবিএস/ওডে/সি

news