দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন বাফুফে নারী কমিটির চেয়ারম্যান কিরণ

নাম তার মাহফুজা আক্তার কিরণ। নারী ফুটবল দলে আলো ছড়াতে এসেছিলেন। সে জন্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পান তিনি। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তার নেতৃত্বে নারী দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক যশ ও সুখ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু হঠাৎ করেই কিরণ পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজের ব্যবসায়িক কাজে।

নারী ফুটবলে এখন অবসর ও পদত্যাগের হিড়িক চললেও, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই কিরণের। আর এসব নিয়ে ভাববার নাকি সময়ই নেই তার।  

কিরণ যখন থেকে ফুটবলের বাইরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন কোচ গোলাম রাব্বনী ছোটনের উপর ভর করে বাফুফে। ছোটনের দুর্দান্ত কোচিংয়ে নারী দল প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়।

বাফুফের ক্যাম্পে থেকে মেয়েরা কোচিং করলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়নি তাদের। এ জন্য খেলোয়াড়রা বার বারই নারী কমিটির চেয়ারম্যান কিরণকে দায়ী করে আসছেন। খেলা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় মাস তিনেক আগে ফুটবল ছেড়ে দিয়েছেন সাজেদা আক্তার ও আনুচিং মাগিনি। গত ২৫ মে ফুটবল থেকে সরে যান সিরাত জাহান সপ্না। এর একদিন পর নারী দলের জয়তু কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

কেন ফুটবলাররা খেলা ছেড়ে দিচ্ছেন? কোচ কেন দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে নারী কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোনো উত্তর নেই। আমি কিছুই বলতে পারবো না। দল থেকে কে বিদায় নিলো আর কে আসলো এসব নিয়ে ভাববার সময় আমার নেই।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় কটূক্তি করায় কিরণকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারেও পাঠিয়েছিলো।

ওই বছরের ৮ মার্চ বাফুফে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কিরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যটি টেলিভিশন ও অনলাইনে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ওই সময়ে ক্রীড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কিরণকে বহিষ্কারের দাবি উঠে।

এনবিএস/ওডে/সি

news