আর্জেন্টাইনদের থেকেও বাংলাদেশিরা মেসিকে বেশি ভালোবাসে

এক সময় ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত দিয়াগো ম্যারাডোনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষ প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। এই কিংবদন্তী প্রয়াত হলেও তার প্রতি ভালোবাসা অটুট রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দরকে সমর্থন করতো বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা। তবে এই ভালোবাসা আর্জেন্টিনাকে অতিক্রম করে চলে গেছে লিওনেল মেসির প্রতি। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেটা প্রমাণ করেছে লাল-সবুজ দেশের মেসি ভক্তরা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। সমর্থক জরিপে বিশ্বের সেরা তিনটি দেশের একটি হবে লাতিন আমেরিকার দেশটি। কাতার বিশ্বকাপে সারা বিশ্ব থেকেই সমর্থন পেয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। সে সমর্থনকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে তারা হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সমর্থকদের দিয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার। 

কাতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনার প্রীতি দেখেছে গোটা বিশ্ব। এই দেশের সমর্থকদের উত্তেজনা-উন্মাদনা হার মানিয়েছে অন্যান্য দেশের সমর্থকদেরও। আর এর কারণ ওই একটাই, লিওনেল মেসি ।

গত ৩০ জুন পিএসজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাবে মেসি। অবশ্য তার আগেই ঘোষণা এসে গেছে মেসির নতুন ঠিকানার। সবাইকে চমকে দিয়ে বার্সেলোনা-আল হিলালকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। 

আগামী ১ জুলাই অফিসিয়ালি যোগ দিবে ক্লাবটিতে আর সম্ভবত ২১ জুলাই ইন্টার মিয়ামির হয়ে অভিষেক হবে মেসির। আমেরিকান ক্লাবটিতে মেসির যোগদানের ঘোষণা আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্টার মায়ামির অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।

গুগলে ফ্লোরিডাভিত্তিক এই ক্লাবটিকে খোঁজা শুরু করে সারা বিশ্বের মেসি সমর্থকরা। গুগলে গত ৭ দিনে সবচেয়ে বেশি মিয়ামিকে খোঁজা হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই। গুগলে এই খোঁজার দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে মেসির নিজের দেশ আর্জেন্টিনার চেয়েও। কেউ কেউ বলতে পারেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি ১৪ কোটি। সেই বিবেচনায় এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু এটাও বলা যায়, মেসিকে আর্জেন্টাইনদের থেকেও বাংলাদেশিরা বেশিই ভালোবাসে। 

মূলত গুগল ট্রেন্ডে কোনো ওয়েব সার্চের সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তার মানদণ্ড হচ্ছে ১০০। বাংলাদেশ এখানে পেয়েছে একশই। শনিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনা পেয়েছে ৮৪। 

গুগল ট্রেন্ডের এই তালিকায় বাংলাদেশ আর্জেন্টিনার পরের নামটা নেপালের। তারা পেয়েছে ৮২, এরপর চার নম্বরে আছে হাইতি (৮১), আর পাঁচে আইভরি কোস্ট (৭৩)। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news