আগে যদি জানতাম কখনোই বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আসতাম না: সুজন

 বিশ্বকাপের টানা ব্যর্থতায় সমালোচনার শিকার বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। খেলোয়ারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেট বোডকে কচুকাটা করছে ক্রিকেট ভক্তরা। তবে সব কিছু পেরিয়ে ব্যর্থতার জন্য সাকিব ও কোচ হাথুরুসিংহেকে দায়ী করছে সাধারণ মানুষ। দিল্লিতে দলের ভিতরের অবস্থা নিয়ে শুক্রবার কথা বলেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

সুজন বলেন, সাকিব তো তার একশ ভাগের দশ ভাগও খলতে পারেনি, এটা সাকিবও ভালো বুঝে। এজন্যই তো সে ঢাকায় গিয়েছিল ট্রেনিং করতে হয়তো-বা। ও জানে যে ও কতটা উদগ্রীব পারফর্ম করার জন্য। খালি ওর পারফরম্যান্স না, ও চায় দল জিতুক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দল পারফর্ম করতে পারছে না এবং জিততে পারছে না। ২০১৯ বিশ্বকাপে যেভাবে ও রান করে অধিনায়ককে সাহায্য করেছিলো, সেটা করতে না পারাও একটা কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, এটা শুধু সাকিবের একার দোষ দিয়ে লাভ নেই। দলে তো সাকিব একা খেলে না, আরও ১০ জন খেলোয়াড় আছে। অধিনায়কের দায়িত্বটা একটু ভিন্ন, কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে তো সবার দায়িত্ব এক। দিনশেষে সব ব্যাটার-বোলারকে একই দায়িত্ব নিতে হবে। দল খারাপ খেলছে, অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সেই সমালোচনা নিতেই হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। আমার মনে হয় সব সমালোচনা সাকিবের না, আমাদের সবার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে বিষয় যখন আসে তখন আমরা সবাই মিলে একটা দল। আমিও যেমন এর অংশ। সেটা আমারও ব্যর্থতা। আমি মনে করি ব্যর্থতাটা আমাদের সবার, আমরা ভালো করতে পারিনি।

সুজনকে নিজের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে বলেন, বিসিবি থেকে আমাকে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই করার চেষ্টা করছি। এর আগে প্রতিটা ট্যুরেই একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকত যে আমি দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, যেটা এবার নেই। আমার এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে আমি কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। এখানে ক্রিকেটিং রুল আমার না।

তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে আগে জানলে, আমি বিশ^কাপে আসতাম না। আমি তো এভাবে থাকতেই চাই না। যেহেতু আমার রক্তেই ক্রিকেট। কোচিং করি, এটা আমার পেশা। টেকনিক্যাল মানুষ হিসেবে গত ট্যুরগুলাতে যে ভূমিকা ছিল। একটা ট্যুরে আমি অভিভাবক হিসেবে থাকব, নিয়ম-শৃঙ্খলা বা অন্য বিষয় দেখব। সেটা তো আমার কাজ না। সেটাও আমি দেখতাম, তবে আমি মূলত ক্রিকেটটা দেখতাম। যেটা হয়েছে গেছে, এখন চিন্তা করে লাভ নেই। সামনের দুইটা ম্যাচ আছে সেদিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news