পাকিস্তানের জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ, হেরে গেলো নিউজিল্যান্ড

 বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শুরুটা ভালো করে ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। তবে মাঝপথে ছন্দ হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলা কঠিন করে তোলে দ্য গ্রিনরা। সপ্তম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ৫ ম্যাচ পর জয়ে ফেরে পাকিস্তান। এরপর নিজেদের অষ্টম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠার আশা জিইয়ে রেখেছে বাবর-রিজওয়ানরা। ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে উঠে এসেছে পাকিস্তান।

শনিবার বেঙ্গালুরুতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাবর-রিজওয়ানদের পাহাড় সমান ৪০২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় উইলিয়ামসনরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে পাকিস্তান। ৮১ বলে ১২৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফখর জামান।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আব্দুল্লাহ শফিককে হারায় পাকিস্তান। তবে বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন আরেক পাক ওপেনার ফখর। ৬৩ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে এই বামহাতি ব্যাটার। অপর প্রান্তে ৫২ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন বাবর। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২১ ওভার ৩ বলে ১৬০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এরপর ম্যাচে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। ১ ঘন্টার বৃষ্টিতে ম্যাচে ৮ ওভার কাঁটা পড়ে। এতে ৪১ ওভারে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান। ১৯ ওভার ৩ বলে ১৮২ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলতে থাকেন বাবর আজম ও ফখর জামান। ২৫ ওভার ২ বলে আবারো বাঁধা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত খেলা আর মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। এ সময় বাবর ৬৬ এবং ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফখর। এতে কপাল পোড়ে নিউজিল্যান্ডের।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে দুই কিউই ওপেনার রাচিন রাবিন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কনওয়ে। ২৫ রানে আউট হন এই বামহাতি ব্যাটার। এরপর কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাচিন রাবিন্দ্র। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে ছুটতে থাকে নিউজিল্যান্ড।

৮৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন রাবিন্দ্র। তবে ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯৫ রান করে আউট হন উইলিয়ামসন। এরপর ১০৮ রানে রাচিন আউট হলে, ব্যাট চালাতে থাকেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপমেন। ২৯ রানে মিচেল এবং ৩৯ রানে আউট হন চ্যাপমেন। শেষদিকে ২৫ বলে ৪১ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে আউট হন গ্লেন ফিলিপস। মিচেল স্যান্টনারের অপরাজিত ২৬ রানে ভর করে পাহাড় সমান ৪০১ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news