শাস্তির মুখে ম্যানসিটির তারকা আর্লিং হালান্ড

ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফুটবলার নরওয়ান আর্লিং হালান্ড শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। গত রোববার রাতে টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে খেলার সময় রেফারির সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা (গালাগাল) এই ফুটবলার।- 

টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারি সাইমন হুপারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হালান্ড।

রোববার রাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠার সময় টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার এমারসনের সঙ্গে কুলোতে না পেরে পড়ে যান হালান্ড। তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে ছুটে গিয়ে বল বাড়ান সামনে থাকা জ্যাক গ্রিলিশের দিকে।

বল ধরে গ্রিলিশ যখন প্রতিপক্ষের গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে টটেনহ্যামের তিন খেলোয়াড়। ইংলিশ মিডফিল্ডারের সামনে গোলের ভালো সুযোগ। কিন্তু রেফারির বাঁশিতে থেমে যেতে হয় গ্রিলিশকে। হালান্ডকে ফাউলের ঘটনায় ফ্রি-কিকের বাঁশি বাঁজান হুপার।

নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় রেফারির ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সিটির খেলোয়াড়রা। কেননা ম্যাচ তখন ৩-৩ গোলে সমতায়। এক গোল হলেই তিন পয়েন্ট পেয়ে যেত সিটি। এই ঘটনায় হলুদ কার্ড দেখেন হালান্ড। এ নিয়ে ম্যাচের পরও ক্ষোভ আড়াল করেননি নরওয়ের তারকা। 

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার করা শব্দ। এই ঘটনা গড়িয়েছে ম্যাচের সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত। মাঠের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও জিজ্ঞাসা করা হলে সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে।

গার্দিওলা অবশ্য হালান্ডের পাশেই দাঁড়িয়েছেন, এটা স্বাভাবিক। তার (হালান্ড) আর বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ের প্রতিক্রিয়া একই। রেফারি বা চতুর্থ অফিশিয়ালের সঙ্গে কথা বলা যায় না এমন আইনের জন্য রক্ষা। নয়তো আমাদের ১০ জনই লাল কার্ড দেখত। সে কিছুটা হতাশ ছিল। এমনকি রেফারি যদি সিটির হয়ে খেলতেন, তাহলে নিজের কাণ্ডের জন্য হতাশ হতেন। 

news