কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপসহ ১০ ফুটবলারকে বিদায় দিচ্ছে লিভারপুল

লিভারপুলে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর কোচ এসেছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। প্রথমদিন এসে ক্লপ বলেছিলেন ‘সংশয়বাদী থেকে বিশ্বাসী’ হতে। সঙ্গে এও বলে রেখেছিলেন, চার বছরের মধ্যে অন্তত একটি শিরোপা এই দলকে এনে দেবেন। কারণ ইংল্যান্ডের সফলতম ক্লাব লিভারপুল তখন নিজেদের সাফল্যের কথা পুরোদমে ভুলতে বসেছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া দূরের কথা, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকেও প্রায় ছিটকে গিয়েছিল তারা। দেশরূপান্তর

ক্লপ কথা রেখেছেন। ৯ বছর পর রোববার শেষবার অ্যানফিল্ডে পা রাখবেন এই জার্মান কোচ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উলভারটন হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে ক্লপের লিভারপুল অধ্যায়। আর ৯ বছরে ক্লাবকে দিয়েছে সম্ভাব্য সব শিরোপা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ, এফএ কাপ এবং লিগ কাপ শিরোপা আছে তার নামের পাশে।

ক্লপের এই বিদায় নিয়ে অ্যানফিল্ডে চলছে শোকের আবহ। বিদায়ের দিনে থাকবে বিশেষ আয়োজন। তবে ইউর্গেন ক্লপ একাই নন। একইদিনে বিদায় নেবেন আরও দুই খেলোয়াড় এবং সাত কোচ।

দীর্ঘদিন লিভারপুলে ক্লপের সহকারী হয়ে ছিলে পেপ লিন্ডার্স। ডাচ এই ফুটবল ম্যানেজার সময়ে-সময়ে লিভারপুলের ত্রাতা হয়েছেন। ২০১৮ সালে তার আগমনের পর থেকেই মূলত সাফল্য আসতে থাকে লিভারপুল শিবিরে। অনেকেরই ধারণা ছিল পেপ লিন্ডার্সই হবেন ক্লপ পরবর্তী অলরেড কোচ। কিন্তু বিদায় নিচ্ছে এই কোচ। লিভারপুলের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে রেডবুল সালজবার্গের দায়িত্ব নিতে অ্যানফিল্ড ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।

পেপ লিন্ডার্স অবশ্য একা যাচ্ছেন না। এলিট ডেভলাপমেন্ট কোচের পদে থাকা ভিটর মাটোসকে নিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গে। সালজবার্গে লিন্ডার্সের সহকারী থাকবেন তিনি। আরেক সহকারী কোচ পিটার ক্রাউইৎজ নিজের গন্তব্য নিয়ে জানাননি কিছুই। ধারণা করা হচ্ছে, ক্লপের মতোই বিশ্রামে যাবেন তিনিও।

দুই সহকারী গোলরক্ষক কোচ জন আখটারবার্গ এবং জ্যাক রবিনসনও আজ বিদায় জানাবেন অ্যানফিল্ডকে। আখটারবার্গ যোগ দেবেন সৌদি লিগের ক্লাব আল-ইত্তিফাকে। সেখানে লিভারপুলেরই কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ড আছেন কোচ হিসেবে।

এছাড়া ফিটনেস এবং কন্ডিশনিং এর প্রধানের পদে থাকা আন্দ্রেয়াস কর্নমায়ার ও রিকোভারি অ্যান্ড পারফরম্যান্স এর প্রধান আন্দ্রেস শ্যুমবার্জারও বিদায় জানাবেন ক্লাবকে।

দুই খেলোয়াড় থিয়াগো আলকানতারা এবং জোয়েল মাতিপকে শেষবার দেখা যাবে অ্যানফিল্ডে। থিয়াগো বড় প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলেন অলরেড শিবিরে। তবে অতিরিক্ত ইনজুরির কারণে কখনোই এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের সৃষ্টিশীলতা পুরোপুরি দেখা যায়নি ক্লাবের হয়ে। আর ২০১৬ সালে শালকে থেকে এসেছিলেন জোয়েল মাতিপ। ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ২০১ ম্যাচ। ক্লপের সর্বজয়ী দলের অংশ ছিলেন। কিংবদন্তি হয়েই অ্যানফিল্ডকে আজ বিদায় জানাবেন মাতিপ।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news