বোলিং আর ফিল্ডিং করতে গিয়ে হালে পানি পেলো না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং নিয়েছিলো মিরাজরা। কিন্তু কোনো কাজে আসলো না। অ্যান্টিগায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস করেছে স্বাগতিকরা। জবাবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে হতো। তবে ঘটেছে তার উল্টো। ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের চেয়ে পিছিয়ে ৪১০ রানে।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামলাতে বেশ ভুগেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। আরও একবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জেডন সিলসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৪ বলে ১৫ রান করেন জাকির। ৩৩ বলে ৫ রান করে অ্যাথানেজকে ক্যাচ দিয়েছেন জয়। এরপর দিনের বাকিটা সময় শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে ভালোভাবে কাটিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। দিপু অপরাজিত ১১ রানে, ৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মুমিনুল। - ডেইলি ক্রিকেট
এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এ পেসারের বলে এলবিডব্লিউ হন জশুয়া দা সিলভা। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ১৪ রান করেছেন জশুয়া।
এরপর আলজারি জোসেফকে ফেরান হাসান। থার্ড স্লিপে জোসেফের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন জাকির হাসান। ৩ বলে ৪ রান আসে জোসেফের ব্যাট থেকে।
উইকেটে আসার পর জাস্টিন গ্রিভসকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন কেমার রোচ। দুজনেই করছেন দারুণ ব্যাটিং। তাদের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না টাইগার বোলাররা।
তবে তাসকিন-হাসানরা যে সুযোগ পাননি ব্যাপারটা এমনও না। বরং সুযোগ হেলায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রিভসের ব্যাটে বল লেগে জাকের আলী অনিক তালুবন্দী করলেও আপিল করেনি টাইগাররা। বেঁচে যান গ্রিভস। জীবন পাওয়া ডানহাতি এ ব্যাটার আছেন সেঞ্চুরির পথে। টেল এন্ডার রোচ করছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। গ্রিভস-রোচের জুটিতে উঠেছে ১৪০ রান।
১৪৪ বলে ৪৭ রান করা রোচকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন হাসান। এরপর জেডন সিলসকে ফিরিয়েছেন মিরাজ। তার আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রিভস।
বাংলাদেশের হয়ে ২৭ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে ৩ টি উইকেন নেন হাসান। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মিরাজ।