বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার শন টেইট। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাদের মতো পেসারদের দক্ষতা বাড়াতে তিনি কাজ করবেন ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড -বিসিবি তাদের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসকে বিদায় দিয়ে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার শন টেইটকে। সোমবার এক বিবৃতিতে বিসিবি এই নিয়োগ নিশ্চিত করেছে। টেইট এই মাসের শেষে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এই নিয়োগকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেস বোলিংয়ের জন্য একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শন টেইট চুক্তি স্বাক্ষরের পর বলেছেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটি একটি উপযুক্ত সময়। এটি একটি নতুন যুগের শুরু। বাংলাদেশের পেসারদের মেধা রয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক। আমি তাদের মেধাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজে লাগিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ফিল সিমন্সের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি উৎসাহিত।” তিনি বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী।
এর আগে, নিউজিল্যান্ডের আন্দ্রে অ্যাডামস বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর পারফরম্যান্সে বিসিবি সন্তুষ্ট ছিল না। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর চুক্তি থাকলেও বিসিবি তাঁকে মেয়াদ শেষের আগেই বিদায় জানায়। অ্যাডামসের অধীনে পেসারদের উন্নতি তেমন লক্ষণীয় না হওয়ায় বিসিবি নতুন কোচের দিকে ঝুঁকেছে। শন টেইটের অভিজ্ঞতা এবং আগ্রাসী কোচিং শৈলী পেসারদের জন্য নতুন গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শন টেইট অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে এবং ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর দ্রুতগতির বোলিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। খেলা ছাড়ার পর তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ -বিপিএলে চিটাগং কিংসের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময় তিনি বাংলাদেশের পেসারদের কাছ থেকে দেখেছেন এবং তাদের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। বিসিবিও টেইটের কাজের প্রতি নজর রেখেছিল, যার ফলে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটে তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলামের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছেন। তবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের ধারাবাহিকতা এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অভিজ্ঞ কোচের প্রয়োজন ছিল। টেইটের আগমন বাংলাদেশের পেসারদের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে বলে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাঁর কোচিংয়ে পেসাররা কীভাবে এগিয়ে যায়, তা দেখার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা উদগ্রীব।
শন টেইটের নিয়োগ বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেস বোলিংয়ে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাসকিন, নাহিদদের মতো পেসারদের দক্ষতা বাড়িয়ে তিনি কীভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। টেইটের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ কতটা শক্তিশালী হয়, তা সময়ই বলবে।


