উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ঘরের মাঠ এমিরেটসে ২-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরুতেই গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলির সহজ গোলেই লিড পায় লন্ডন জায়ান্টরা। তবে ব্যবধান বাড়াতে দেরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছিল গ্যালারিতে। শেষ মুহূর্তে বুকায়ো সাকার গোল আর্সেনালকে চাপমুক্ত করে এবং জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত আর্সেনাল। মাইলস লুইস-স্কেলির নিখুঁত ক্রস থেকে মার্টিনেলির হেড গোলমুখে গেলেও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। তবে ১২ মিনিটেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ওডেগার্ডের থ্রু–পাস থেকে ভিক্টর গিয়োকারেস শট নেন, গোলরক্ষক কোস্তাস জোলাকিস তা ঠেকালেও বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
এরপরও খেলার ধারা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আর্সেনাল, কিন্তু গোল পেতে ব্যর্থ হয় বারবার। এ সময়ে অলিম্পিয়াকোসও একবার সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়ে যায়। সাবেক উলভস ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল পোডেন্সের ভয়ংকর ভলিটি আটকান দাভিদ রায়া। অসাধারণ এক হাত বাড়িয়ে গোল রুখে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলা চলে।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে জালে বল জড়াতে পারেনি আর্সেনাল। গিয়োকারেসের শট সামান্য বাইরে যায়, ট্রসার্ডও সহজ সুযোগ মিস করেন। দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র। আক্রমণ একের পর এক, কিন্তু গোলের দেখা নেই। এমনকি ৬০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ডেক্লান রাইস দলকে কিছুটা প্রাণ দিলেও সাফল্য আসে না।
অন্যদিকে অলিম্পিয়াকোসও সমতায় ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এল কাবির হেড রায়া ঠেকালেও ফিরতি বল থেকে চিকুইনহো জালে পাঠান। তবে অফসাইডের কারণে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
সময় গড়াচ্ছিল, চাপ বাড়ছিল। তাই শেষদিকে আর্তেতা মাঠে নামান সাকা ও ইবেরেচি এজেকে। তখনও যেন কিছুটা নার্ভাস দেখাচ্ছিল এমিরেটস। এরই মধ্যে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে হয় ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলকে, যা উদ্বেগ আরও বাড়ায়।
তবে শেষ হাসি হাসলেন সাকা। যোগ করা সময়ে ওডেগার্ডের পাস থেকে বক্সে বল পেয়ে ইংলিশ উইঙ্গার শক্তিশালী শটে গোলরক্ষক জোলাকিসের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান। ২-০ গোলে আর্সেনাল স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এবারের অভিযানে টানা দুই ম্যাচে জিতে দুর্দান্ত শুরু করল আর্সেনাল। অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে জয়টি হয়তো বড় ব্যবধানে হতে পারত, যদি সুযোগগুলো কাজে লাগানো যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাকা–মার্টিনেলির জোড়াতেই তিন পয়েন্ট পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো লন্ডনের ক্লাবকে।


