বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) আয়োজিত সব ধরনের টুর্নামেন্ট বা লিগে অংশগ্রহণ না করা কিংবা মাঝপথ থেকে সরে দাঁড়ানো ক্লাবগুলোর জন্য যুক্ত হলো এক নতুন ও কঠোর ধারা। সোমবার (আজ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
 ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকেই কার্যকর: সরে দাঁড়ালেই সোজা অবনমন!
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং লিগ থেকেই কার্যকর হবে। এই ধারার আওতায় কোনো দল যদি লিগে অংশ না নেয় বা প্রতিযোগিতা চলাকালীন মাঝপথ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, তবে ক্লাবটিকে তাৎক্ষণিকভাবে 'অযোগ্য' ঘোষণা করা হবে এবং তাকে অবনমনের (Relegation) মুখে পড়তে হবে।
                                                                           
                                                                    
                                    
বিসিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে যে মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
অযোগ্য ঘোষণা ও রেলিগেশন: কোনো দল সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিগে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলে, কিংবা লিগ শুরু হওয়ার পর প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে, সংশ্লিষ্ট দলটি অবিলম্বে অযোগ্য ঘোষিত হবে এবং সোজা অবনমনের শিকার হবে। ওই মৌসুমে আর দলটির পুনরায় খেলার কোনো অধিকার থাকবে না।
পয়েন্ট চলে যাবে প্রতিপক্ষের ঘরে: অযোগ্য ঘোষণা বা প্রত্যাহারের আগে যদি দলটি এক বা একাধিক ম্যাচে অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেই সব ম্যাচের পূর্ণ পয়েন্ট প্রতিপক্ষ দলকে প্রদান করা হবে—ম্যাচের আসল ফল যাই হোক না কেন।
পরবর্তী প্রতিপক্ষও পূর্ণ পয়েন্ট পাবে: দলটি অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর যেসব দলের বিপক্ষে তাদের খেলার সূচি ছিল, সেই সব দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ ম্যাচের পূর্ণ পয়েন্ট পাবে।
আগে জানালে ছাড়: লিগ শুরুর আগে যেসব দল আনুষ্ঠানিকভাবে খেলা থেকে নাম প্রত্যাহার করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই কঠোর ধারা প্রযোজ্য হবে না।
রেলিগেশন লিগ বাতিল: কোনো মৌসুমে যদি দুটি বা তার বেশি দল অংশগ্রহণ না করা বা প্রত্যাহারের কারণে অবনমিত হয়, তবে সেই মৌসুমে ‘রেলিগেশন লিগ’ অনুষ্ঠিত হবে না।
উন্নীত দলের সংখ্যা নির্ধারণ: ২০২৫–২৬ মৌসুমে এই ধারার আওতায় কত দল অবনমিত হয়েছে, তার ভিত্তিতেই সিসিডিএম সিদ্ধান্ত নেবে যে ২০২৬–২৭ মৌসুমে কতগুলো দল উন্নীত (Promoted) হবে।
এই নতুন নিয়মের ফলে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে ক্লাবগুলোর দায়িত্বশীলতা ও প্রতিশ্রুতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
                                
                                
	
                                
                    
                                                                                    