হংকং সিক্সেসে পাকিস্তানকে হারিয়ে বাজিমাত করা ভারতীয় দল এবার ধস নামল একের পর এক। প্রথমে কুয়েতের কাছে ২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নেপালের কাছেও পরাজয় মেনেছে দিনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন দলটি।

হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে ভারতের দলনেতা হচ্ছেন দিনেশ কার্তিক। স্টুয়ার্ট বিনি, অভিমন্যু মিঠুন এবং রবিন উথাপ্পাকে আবারও এই টুর্নামেন্টের জন্য দলে নেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও দলে থাকার কথা ছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে আঘাতের কারণে তিনি বাদ পড়েন এবং তাঁর বদলি হিসেবে দলে আসেন রবিন উথাপ্পা।

কুয়েতের কাছে ভারতের অপ্রত্যাশিত হার

পুল সি-তে কুয়েতের মুখোমুখি হয় ভারত, কিন্তু ম্যাচের ফল হয় চমকপ্রদ। কুয়েতের কাছে ২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে দিনেশ কার্তিকের দল। ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে কুয়েত যখন ১০৭ রানের টার্গেট দেয়, জবাবে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে করতে পারে মাত্র ৭৯ রান।

কুয়েতের খেলোয়াড়দের অসাধারণ মনোবল, কৌশলগত ব্রিলিয়েন্স এবং ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই তাদের এই জয় এনে দেয়। ইয়াসিন প্যাটেল এবং বাকি কুয়েতি ব্যাটসম্যানরা ছয়-পাশের এই ফরম্যাটে দারুণ কিছু ব্যাটিং প্রদর্শন করে।

ম্যাচ সেরা ইয়াসিন প্যাটেলের শেষ ওভারের তাণ্ডব

কুয়েতের অল-রাউন্ডার ইয়াসিন প্যাটেল সম্ভবত তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন, যা কুয়েত ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর এই অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারাতে সক্ষম হয় কুয়েত।

একপর্যায়ে কুয়েত ৯০ রানের কাছাকাছিও যেতে পারছিল না, ইয়াসিন প্যাটেল না আসলে তারা ৮০ রানের আশেপাশেই থেমে যেত। কিন্তু প্যাটেল এসে শেষ ওভারে একাই মেরেছেন ৫টি ছক্কা! তাঁর এই বিস্ফোরণে দলের স্কোর ৭৬ থেকে পৌঁছে যায় ১০৬-এ। শেষ ওভারে এই ৩০ রানের মধ্যে ২৭ রানই এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে, যা পরে জয়ের ব্যবধান হিসেবে দেখা দেয়। এই অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করা হয়।

বলেও দারুণ ইয়াসিন ও আদনান

কুয়েতের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটিংয়ের পর, ভারত যখন জবাব দিতে আসে, রবিন উথাপ্পাকে দিয়ে শুরুটা ভালোই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গোল্ডেন ডাকে আউট হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক এবং অল-রাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনিও ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করতে পারেননি।

কেবল অভিমন্যু মিঠুনই ভারতের ডাগআউটে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন। শেষ ওভারে তিনি প্রথম তিন বলেই মেরেছিলেন তিন ছক্কা, যদিও তখনও ভারতের দরকার ছিল ৩ বলেই ২৬ রান। কিন্তু আদনান ইদ্রিস নার্ভ না হারিয়ে মিঠুনকে ৯ বলে ২৬ রানে বিদায় করেন। ইয়াসিন প্যাটেলও বল হাতে দারুণ করেন, তাঁর দুই ওভারে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার ম্যাচের ফল নির্ধারণে decisive ভূমিকা রাখে।

কুয়েতের কাছে হারার পর, মেন ইন ব্লু সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৪ উইকেটে এবং নেপালের কাছে ৯২ রানে বিশাল ব্যবধানে হারের ধাক্কা সামলেছে।

 

news