রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আরসিবি অধিনায়ক রাজত পাতিদারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বড় ধাক্কা লেগেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-এর বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে গুরুতর চোট পাওয়ায় অন্তত চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই তরুণ তারকাকে।
রাজত পাতিদার সম্প্রতি ভারত ‘এ’ দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু চোট তাঁর উত্থানের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ডেইনিক জাগরণ’-এর সাংবাদিক অভিষেক ত্রিপাঠির তথ্য অনুযায়ী, তাঁর ইনজুরি বেশ গুরুতর এবং দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে।
আইপিএলে ইতিহাস গড়ে আলোচনায় পাতিদার
আইপিএল ২০২৫ মরসুমে রাজত পাতিদার ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইতিহাসের নায়ক। তাঁর নেতৃত্বেই দলটি প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে। পারফরম্যান্সের কারণে তাঁকে পরের মৌসুমের জন্যও আরসিবি ধরে রাখে।
দেশীয় ক্রিকেটে রাজত পাতিদার বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ দলের অধিনায়ক। ২০২৫ সালের দুলীপ ট্রফিতেও তিনি সেন্ট্রাল জোনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড সফরের জন্য তাঁকে ভারতীয় দলে রাখা হলেও শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-এর বিপক্ষে ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন
বিসিসিআই এক্সেলেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রথম আনঅফিশিয়াল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-এর বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন পাতিদার। ওই ম্যাচেই তাঁর চোটের কারণে খেলার বাইরে যেতে হয়। ইনজুরি তাঁকে অন্তত চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে রাখবে বলে জানা গেছে।
চোটের আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন পাতিদার। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করছিলেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল ভারতীয় দলে তিন নম্বর ব্যাটারের স্থানে জায়গা পাকা করা। কিন্তু চোট সেই স্বপ্নে আপাতত ছেদ ফেলেছে।
মধ্যপ্রদেশ ও ঘরোয়া ক্রিকেটেও বড় ক্ষতি
এই ইনজুরি কেবল রাজত পাতিদারের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারেই নয়, মধ্যপ্রদেশ দলের জন্যও বড় আঘাত। কারণ ইনজুরির সময়টি পড়েছে রঞ্জি ট্রফি মৌসুমের ঠিক আগমুহূর্তে। ফলে দলকে গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাটার ও অধিনায়ককে ছাড়া খেলতে হবে।
আইপিএল শেষ হওয়ার পর দুলীপ ট্রফিতে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ৩৮২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন পাতিদার। তিনি করেন দুটি শতক ও দুটি অর্ধশতক। পরবর্তীতে ইরানি কাপে ৬৬ রানের ইনিংসের পর রঞ্জি মৌসুমে করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম দ্বিশতক।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাঁর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৯ ও ২৮ রান।
আইপিএল ২০২৬-এ খেলবেন তো?
রাজত পাতিদার আইপিএল ২০২৬ মৌসুমেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হওয়ার কথা। তবে তাঁর ইনজুরি সেই পরিকল্পনায় প্রশ্ন তুলেছে। যদিও চিকিৎসকরা আশাবাদী, চার মাসের পুনর্বাসনের পর তিনি ফিরতে পারবেন ঠিক সময়ে।
গত মৌসুমে পাতিদারের ব্যাট থেকে আসে ৩১২ রান, গড় ছিল ২৪। ১২ ইনিংসে করেন দুটি অর্ধশতক, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৩.৭৭। যদি সময়মতো পুরোপুরি সেরে না ওঠেন, তাহলে জিতেশ শর্মা অস্থায়ীভাবে দলের অধিনায়কত্ব সামলাতে পারেন—যেমনটা ২০২৫ মৌসুমেও করেছিলেন।
