অ্যাঙ্গোলার মাঠে নামলেই সহজ জয়—এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ আর রদ্রিগো ডি পলকে নিয়ে শক্তিশালী দল সাজিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। কিন্তু স্বাগতিকদের শক্ত রক্ষণ ভাঙতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবুও শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে বছর শেষ করল আর্জেন্টিনা।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রীতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে দলগুলো। অক্টোবরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেললেও নভেম্বর উইন্ডোতে আজ লুয়ান্ডার এস্তাদিও ‘১১ দে নভেমব্রে’ স্টেডিয়ামে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ছিল আর্জেন্টিনার এ বছরের শেষ ম্যাচ।
অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপনের অংশ হিসেবেই এই প্রীতি ম্যাচ আয়োজন। একই সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে এটি ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের শেষ বড় পরীক্ষা।
মাত্র ১২ মিনিটেই বিপদে পড়ে আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় নেয়া শট ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারায় গোলের সামনে দাঁড়িয়ে যায় দলটি। কিন্তু ব্যাকপোস্টে দাঁড়িয়ে রুলির দারুণ সেভে রক্ষা পায় তারা।
২১ মিনিটে লাউতারোর দুর্দান্ত থ্রু বল থেকে গোলের বেশ কাছে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অ্যাঙ্গোলার গোলরক্ষক মারকেস তা প্রতিহত করেন। ৩৯ মিনিটে গঞ্জালেসের পাস পেয়ে মেসির নেয়া শট দুর্বল হয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
বিরতির আগে গোল, শেষে নিশ্চিত জয়
অবশেষে ৪৩ মিনিটে মেসির নিখুঁত পাস ধরে নিচু শটে গোল করে লাউতারো মার্টিনেজ। দ্বিতীয়ার্ধে তেমন সুযোগ না পেলেও ৮২ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা।
যদিও গোলটি এসেছে একপ্রকার অঘটন থেকে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে আক্রমণ চালাতে গিয়ে বল হারালেও অ্যাঙ্গোলার ভুল ক্লিয়ারেন্স লাউতারোর কাছে যায়। এসময় বক্সে থাকা মেসিকে বল বাড়িয়ে দেন লাউতারো, আর সহজেই গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে স্ক্যালোনির দল
অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো আর্জেন্টিনা ভেনেজুয়েলাকে ১-০ এবং পুয়ের্তো রিকোকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল। তবে নভেম্বর উইন্ডোর এই ম্যাচে তারা পায়নি কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে। নিয়মিত গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ডাকেননি স্ক্যালোনি।
বছর শেষের ম্যাচের আগে স্পেনে সপ্তাহজুড়ে অনুশীলন করেছে দলটি। এলচের মানুয়েল মার্টিনেস ভালেরো স্টেডিয়ামে তাদের ওপেন ট্রেনিং দেখতে হাজির হয়েছিলেন ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক।
অন্যদিকে অ্যাঙ্গোলা ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই থেকে বাদ পড়েছে। এএফসির বাছাইয়ে বাড়তি কোটা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ডি গ্রুপে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়ে শেষ করে অ্যাঙ্গোলা। শীর্ষে ছিল কেপ ভার্দে (২৩) এবং দ্বিতীয় স্থানে ক্যামেরুন (১৯)।
