শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে নেমেই নিজেদের শক্তির জানান দিল রংপুর রাইডার্স। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে বড় জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার চট্টগ্রাম রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারায় নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দলটি। আগে বোলিং করে চট্টগ্রামকে মাত্র ১০২ রানে অলআউট করে দেয় রংপুর। জবাবে মাত্র ১৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

রংপুরের এই জয়ের মূল নায়ক ফাহিম আশরাফ। আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার। তার সঙ্গে দারুণভাবে সমর্থন দেন মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি নেন ২ উইকেট।

১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঝড়ো শুরু করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস ও দাভিদ মালান। একসময় মনে হচ্ছিল, কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জিতে যাবে রংপুর। তবে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর জোড়া আঘাতে ভাঙে সেই জুটি।

সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। নবম ওভারে তার করা স্পিনে তিনটি ছক্কা ও একটি চারসহ ২৪ রান তুলে নেয় রংপুর।

১৩তম ওভারে মুগ্ধর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন লিটন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। এরপর তিন নম্বরে নেমে মাত্র ১ রান করে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়।

জয়ের জন্য মাত্র ২ রান বাকি থাকতে জয়ের বলে কভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মালান। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫১ রান করেন এই ইংলিশ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ও খুশদিল শাহ ম্যাচ শেষ করে রংপুরকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমেই আঘাত হানে রংপুর। প্রথম ওভারে গতিময় বল করে চট্টগ্রামের বিদেশি ওপেনার অ্যাডাম রসিংটনকে ফেরান নাহিদ রানা। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নেন আলিস আল ইসলাম।

পাল্টা আক্রমণে নামা মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিছুক্ষণ লড়াই করলেও মোস্তাফিজুর রহমানের সামনে টিকতে পারেননি। ২০ বলে ৩৯ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর রহস্যময় বোলিংয়ে আঘাত হানেন আলিস আল ইসলাম। রানের খাতা না খুলেই কট বিহাইন্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়। পাওয়ার প্লে শেষে ফাহিম আশরাফ শুরু করেন উইকেট উৎসব।

সপ্তম ওভারে মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে আউট করার পর ১১তম ওভারে একই সঙ্গে মাসুদ গুরবাজ ও চট্টগ্রাম অধিনায়ক শেখ মেহেদি হাসানকে ফেরান ফাহিম। তখন মাত্র ৭৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম।

নতুন স্পেলে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মোস্তাফিজ। তার কাটারে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন মির্জা বেগ (২৪ বলে ২০)। পরে সুফিয়ান মুকিম তানভির ইসলামকে আউট করেন।

১৮তম ওভারে চার বলের মধ্যে আবু হায়দার রনি ও শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন ফাহিম আশরাফ। এতে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম রয়্যালস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম রয়্যালস: ১৭.৫ ওভারে ১০২
রংপুর রাইডার্স: ১৫ ওভারে ১০৭/৩
রংপুর জিতেছে ৭ উইকেটে

 

news