নারী রিপোর্টারকে হিজাব পরতে বাধ্য করলো ইরান ফুটবল টিম

হিজাব নিয়ে তুমুল আন্দোলন চলছে ইরানে। এসবের ভেতরেই নতুন বির্তক জন্ম দিলো ইরান জাতীয় ফুটবল দল। এক নারী সংবাদকর্মীকে হিজাব পরতে অনেকটাই বাধ্য করেছেন দলের সিকিউরিটি স্টাফরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর ইরান ফুটবল দলের কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন দ্য সান-এর রিপোর্টার ইসাবেলে বার্কার। কিন্তু ইরান দলের নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকে সরাসরি বলে দেয়া হয়, মাথায় স্কার্ফ পরে আসলেই কেবল ইন্টারভিউ নেয়ার সুযোগ পাবেন ইসাবেলে।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় শুক্রবার ফিফা প্রীতি ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ইরান। দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় এশিয়ার দলটি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের গ্রুপে রয়েছে ইরান। তাদের এই জয় স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশ মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইরানের জয়কে সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছে ইংল্যান্ড। নেশনস লীগে টানা ৫ ম্যাচ জয়হীন থাকায় উদ্বেগের মাত্রাটা একটু বেশিই তাদের। উরুগুয়ে ম্যাচের পরদিন ইরানের টিম হোটেলে প্রেস কনফারেন্সে যোগ দিতে যান দ্য সান-এর রিপোর্টার ইসাবেলে। দলের সিকিউরিটি স্টাফরা তাকে আটকে দেন।

জানান, হিজাব পরা ছাড়া কনফারেন্সে যাওয়া যাবে না। ইসাবেলা বলেন, ‘এটা শোনার পর অবাক হই। ভেবেছিলাম টিম হোটেলের বাইরে একাই বিক্ষোভ করবো। কিন্তু পেশাদারিত্বের খাতিরে তাদের কথা মেনে নিই। স্থানীয় মার্কেট থেকে হিজাব কেনার চেষ্টা করেছিলাম, তখন সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত একটি টি-শার্টকেই স্কার্ফের মতো করে মাথায় পরি।’ 

তবে ইসাবেলা এটাও জানিয়েছেন, হিজাব পরার আদেশ ইরান দলের প্রেস অফিসার, দলের কোনো খেলোয়াড় কিংবা কোচের পক্ষ থেকে আসেনি। তিনি উল্লেখ করেন, ‘কোচ ও ফুটবলাররা আন্তরিক ও বন্ধুভাবাপন্ন ছিলেন।’

অস্ট্রিয়ার এনভি এরেনায় ইরান-উরুগুয়ে ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে দুই সমর্থক ইরান-বিরোধী চিহ্ন দেখান। যে কারণে তাদেরকে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়।

news