আশরাফ হাকিমি ফুটবলের বেন স্টোকস

দেশের জন্য কত কিছুই না করতে হয়। কেউ নিজ জন্মভূমির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলো ব্যাট হাতে তো কেউ আবার তলোয়ার। হাকিমির মতোই বেন স্টোকস নিজ জন্মভূমিকেই যে ছিটকে দিয়েছিলো অসাধারণ ইনিংসে। জীবনের প্রয়োজনে কত কিছুই না করতে হয়। প্রিয় জন্মভূমির বিপক্ষেও দাঁড়াতে হয়। কখনো ব্যাট হাতে, কখনো আবার বল পায়ে ক্রীড়াক্ষেত্রেও অনেকেই নিজ জন্মভূমির বিপক্ষে বনে গেছেন নায়ক।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ঘটলো এমনি এক ঘটনা। সুপার সিক্সটিনে স্পেনকে হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে মরক্কো। আশরাফ হাকিমির শটটা স্পেনের জালে জড়াতেই গ্যালারিতে বাঁধভাঙা উল্লাস মরক্কোর সমর্থকদের। আটলাস সিংহদের গর্জনে এদিন ভারী হয়ে ওঠে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে মরক্কো।

সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য নিজ দেশ ছেড়ে মাদ্রিদে গৃহকর্মীর কাজ করতেন হাকিমির মা। বাবা অলিতে গলিতে ফেরিওয়ালা ছিলেন। গরীব পরিবারের হাকিমির ফুটবল খেলাটা চালিয়ে যেতে সম্মুখীন হতে হয়েছে নানা বাঁধার। হাকিমির ভাইদের বিসর্জন দিতে হয়েছে অনেক আকাঙ্খা।

হাকিমির বয়স তখন ৭ এর কাছাকাছি। হঠ্যাৎ তার বাবা বাসার দরজায় একটি চিঠি দ্যাখেন। চিঠিটি ছিল লা লিগা জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ থেকে। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও পরে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা শুরু করেন হাকিমি। তখন থেকেই জীবন বদলে যায় এই ফুটবলারের। ২০১৯ বিশ্বকাপে জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন বেন স্টোকস। তার একক বীরত্বে জয় ছিনিয়ে নেয় ইংলিশরা।

এনবিএস/ওডে/সি

news