শনিবার মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড

যে কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক বেশি শক্তিধর ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। কাতার বিশ্বকাপেও শক্তির জানান দিয়েছে তারা। এবার এই দুই দল মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। এক দল বিদায় নিবে বিশ্ব আসর থেকে, আরেক দল সেমিফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখবে।

ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বারের বেশি। তবে বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছে দুইবার। সবশেষ সাক্ষাত  ৪০ বছর আগে। এবার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে  শনিবার লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু শিরোপাধারী ও সাবেক চ্যাম্পিয়নদের দ্বৈরথ।

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ১২ গোল করেছে ইংল্যান্ড। যৌথভাবে কোনো বড় টুর্নামেন্টে যা তাদের সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে রাশিয়া আসরে সেমিফাইনালে ওঠার পথেও ১২ গোল করেছিলো তারা। কিলিয়ান এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে পাঁচ গোল করেছেন। মেজর টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোল এখন হ্যারি কেইনের। সেনেগালের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়ে ইংলিশ অধিনায়ক ছাড়িয়ে গেছেন গ্যারি লিনেকারকে। কেইনের গোল এখন ১১টি।

সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২ গোল করেছেন হ্যারি কেইন। এই তালিকায় তার ওপরে আছেন কেবল ওয়েইন রুনি (৫৩)। ২০০৬ সালে ব্রাজিলের পর শিরোপাধারী প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে ফ্রান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ২০১০ আসরে ইতালি খেলতে নেমে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্বে। আবার ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ২০১৪ সালে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। ২০১৪ আসরের শিরোপা জয়ী জার্মানিরও গত আসরে হয় একই অবস্থা।

ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এখন পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ১৭ ম্যাচ জিতে অনেকটা এগিয়ে আছে ইংলিশরা। ফরাসিদের জয় কেবল ৯টিতে। তবে ইংল্যান্ডের ১০ জয়ই ১৯৫০ সালের আগে। এই শতকে স্রেফ দুইবার জিতেছে তারা, হেরেছে ৪ ম্যাচে। বিশ্বকাপে স্রেফ দুইবার দেখা হয়েছে তাদের। দুইবারই জয়ের স্বাদ পেয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে নিজেদের প্রথম ও একমাত্র শিরোপা ঘরে তোলার পথে গ্রুপ পর্বে ফরাসিদের তারা হারিয়েছিল ২-০ গোলে। ১৯৮২ আসরে তাদের জয় ৩-১ গোলে।

এনবিএস/ওডে/সি

news