টেস্টের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বললেন বোথাম ও বেন স্টোকস

মাত্র ৬ মাসে বদলে দিয়েছেন সব। টেস্ট ক্রিকেটে ধুঁকতে থাকা দলের পারফরম্যান্স। টেস্ট খেলার চিরায়ত স্টাইলটাও। জো রুটের নেতৃত্বে আগের ১৭ টেস্টে যাদের জয় ছিল ১টি, সেই ইংল্যান্ডই বেন স্টোকসের অধিনায়কত্বে ১০ টেস্টে জিতেছে ৯ ম্যাচ।

এই জার্নিতে স্টোকসের সঙ্গী কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দুই আগ্রাসী ক্রিকেট মস্তিষ্কের মিশেলে বিশ্ব দেখছে ব্র্যান্ডনিউ বাজবল থিওরি। টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে খোলামেলা আলাপ করেছেন দুই ইংলিশ ইয়ান বোথাম আর বেন স্টোকস।

বেন স্টোকস বলেন, নতুন ফরম্যাট আর ফ্র্যাঞ্জাইজি কম্পিটিশনের ভিড়ে সূচিতে এই ফরম্যাটকে এত গুরুত্ব দেয়া হয় না। কিন্তু আমি টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি। খেলাটাকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে চাই।

ইয়ান বোথাম বলেন, সবাই টেস্ট ম্যাচ দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। টেস্ট না থাকলে ক্রিকেটকেই হারিয়ে ফেলব আমরা। এখন সাদা বলের ক্রিকেট গুরুত্ব পায় বেশি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আইডিয়া দারুণ। কিন্তু একটা ভারসাম্য থাকা উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করা যেতে পারে।

ইংলিশ কিংবদন্তি বোথাম ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। রঙিন পোশাকের চেয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার বেশি উজ্জ্বল তার। ৫ হাজারের ওপর রান আর ৩৮৩ উইকেট এই ফরম্যাটে। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোলাগা বেশি বোথামের। এই সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার স্টোকসের খেলা ভালো লাগে তার।

টেস্টে সাড়ে ৫ হাজারের ওপর রান আর প্রায় ২০০ উইকেট স্টোকসের। সবাই যখন অবসরের প্রসঙ্গ আসলে টেস্ট থেকে বিদায়ের অপশন বেছে নেয় আগে, সেখানে স্টোকস ভিন্ন। ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়ে ৫ দিনের ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিত। টেস্টের প্রতি এই অনুরাগ অনুজকে আরও প্রিয় করে তুলেছে বোথামের কাছে। তবে আলাদাভাবে ২০১৯ অ্যাশেজের নায়কোচিত ইনিংসটা বেশি পছন্দ তার।

ইয়ান বোথাম বলেন, হেডিংলিতে আমার অনেক স্মৃতি আছে। ২০১৯ সালের ম্যাচটাতেও ছিলাম। ক্রিকেটটা এভাবেই খেলা উচিত। অজিরা যেভাবে ভেঙে পড়েছিল, দেখেই অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছিল।

বেন স্টোকস বলেন, হেডিংলির ১৯৮১ সালের মিরাকলের কথা সবাই জানে। সেটার সঙ্গে আমারটার তুলনা হয়, ভাবতেই ভালো লাগে। ফ্লিনটফের মতো অলরাউন্ডারকে দেখে বড় হয়েছি। বোথামের সঙ্গে তার তুলনা হতো।

এনবিএস/ওডে/সি

news