তামিম-জয়ের পর ইয়াসির ঝড়ে সহজ জয় খুলনার

 চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে তামিম, মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বির দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা।

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করতে পারে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এ সময় ৬ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হন ম্যাক্স ও’দাউদ। এরপর ৭০ রানের জুটি হয় আফিফ হোসেন ও ওপেনার উসমান খানের মধ্যে। খান ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট হন আমাদ বাটের বলে। তার ক্যাচ লুফে নেন নাসুম আহমেদ।

আফিফ ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হওয়ার আগে ৩০ বলে করেন ৩৫ রান। একই ওভারে রিয়াজ তুলে নেন খাওয়াজার উইকেট। তখন চট্টগ্রামের হয়ে টিকে ছিলেন দারউইস রাসুলি। ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৩৩ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ক্রিকেটার। কিন্তু আজ (শুক্রবার) জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রাসুলি রানআউট হন নাহিদুল ইসলামের থ্রোতে। ২৬ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

জিয়াউর রহমান সংগ্রহ করেন ৯ বলে ১১ রান। অধিনায়ক শুভাগত হোমও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৪ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে ফরহাদ রেজা ৯ বলে খেলেন ২১ রানের কার্যকরী ইনিংস।

খুলনার হয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট পান রিয়াজ। সাইফউদ্দিন ২টি ও আমাদ একটি উইকেট নেন। বল হাতে ৫ ইকোনমিতে নাসুম ১০ এবং পল ভ্যান মিকেরেন ৬ ইকোনমিতে ২৪ রান দিলেও কোনো উইকেট সংগ্রহ করতে পারেনি।

রান তাড়া করতে নেমে এক মৌসুম আগে বিপিএলে ঝড় তোলা মুনিম আউট হন শূন্য রানে। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল মিলে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। তামিম ৩৭ বলে ৪৪ রান করে নিহাদুজ্জামানের শিকার হন। ব্যাট হাতে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটির হাতছানি ছিল তামিমের সামনে। কিন্তু মাত্র ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে জাতীয় দলের এই ওয়ানডে অধিনায়ককে। তবে ফিফটি মিস করলেও তামিম গড়লেন নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। নিহাদুজ্জামান তুলে নেন জয়ের উইকেটও। ৪৪ বলে ৫৯ রান করেন জয়। ১৭ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলি। আজম খান ১৬ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ।

চট্টগ্রামের হয়ে নিহাদুজ্জামান তুলে নেন ২ টি উইকেট এবং শোভগতা হোম নেন একটি উইকেট। জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিমরা।

এনবিএস/ওডে/সি

news