জাত চেনালেন সাকিব-মাশরাফি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের চট্টগ্রাম পর্বে ঘুরে দাড়িয়েছে কুমিল্লা, খুলনা ও বরিশালে। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এ ছাড়া নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করেছে অন্য দলগুলো। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে শক্তির প্রমাণ দিয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর সমান সংখ্যক ম্যাচে জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়। খুলনা টাইগার্স ও প্রথম তিন ম্যাচে হেরে যায়, পরে শেষ দুই ম্যাচে জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে ইয়াসির আলীর দল।

অপরদিকে, একের পর এক ইনজুরি সমস্যায় পরছে রংপুর রাইডার্স। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে হেরেছে তারা। হোম ভেন্যুর পুরো সুবিধা নিতে পারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে ঢাকা। ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছে নাসির হোসেনের দল।

মোহাম্মদ রিজওয়ান, ওয়াহাব রিয়াজসহ বিদেশিদের মধ্যে দ্যুতি ছড়াচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এবারের আসরে তিনটি শতক হয়েছে। সবই করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ঢাকায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১০৯ রান করেন খুলানা টাইগার্সের আজম খান। সেঞ্চুরি করেই এর জবাব দেন আরেক পাকিস্তানি উসমান খান। এতে ৯ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানের ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েন তিনি।

চট্টগ্রাম পর্বের সেরা ব্যাটার সাকিব আল হাসান। নবম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ১৯৬.৪২ স্ট্রাইক রেটে ২৭৫ রান করেছেন বরিশালের অধিনায়ক। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে বরিশাল। তালিকার দ্বিতীয়তে আছেন ঢাকার নাসির হোসেন। সাকিবের চেয়ে ৬ রান কমে ঢাকার অধিনায়কের। ২৬৯ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়তে আছেন নাসির।

ব্যাটারদের সেরা পাঁচের তিন ও চারে আছেন পাকিস্তানের উসমান খান (২৫৬) ও ইফতিখার আহমেদ (২০৮)। হাতের ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম পর্ব খেলতে না পারলেও ৪ ম্যাচে ১৯৫ রান নিয়ে তালিকার ৫ নম্বরে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের তৌহিদ হৃদয়।

এনবিএস/ওডে/সি

news