ফাইনালে ঘরের মাঠে কেরল ভয়ঙ্কর, শুরুতেই গোল পেতে হবে বাংলাকে

সন্তোষ ট্রফি বাংলা (Bengal) ফুটবলের (Santosh Trophy Final) কাছে দারুণ একটা আবেগের জায়গা। আগে সন্তোষ ট্রফির আসরে কলকাতা ফুটবলের দলবদল সম্পূর্ণ হতো। কলকাতা ময়দান থেকে কর্তারা যেতেন ফুটবলারকে তাঁদের জালে তুলবেন বলে। সেই উন্মাদনা আর নেই সর্বভারতীয় ফুটবল আসরে। তবুও সোমবার রাতে বাংলা ও কেরলের (Kerala) মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।

তাও এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে আলভিটো ও ষষ্ঠী দুলে ফুটবলার রিক্রুট করবে বলে গিয়েছে কেরলে। এবার সন্তোষের আসর আবারও জমজমাট। বহু আগামী দিনের তারকা উঠে এসেছে টুর্নামেন্ট থেকে। বাংলার পরে কেরলে ফুটবল দারুণ জনপ্রিয়। প্রতি ম্যাচে তাই দর্শকরা মাঠ ভরাচ্ছেন।

Arun Lal Marriage: অরুণ লালের বিয়েতে আজ চাঁদের হাট, অনুষ্ঠানে কাছাকাছি আসছেন শাস্ত্রী-সৌরভ

বাংলা দলের বেশকিছু ফুটবলারকে দেখে ভাল লেগেছে। মনোতোষ চাকলাদার, ফারদিন আলি মোল্লা, শুভম ভৌমিকদের খেলা দেখে মনে হয়েছে তারা লম্বারেসের ঘোড়া। কোচ হিসেবে রঞ্জন ভট্টাচার্য ভাল কাজ করেছেন।

রঞ্জন কম কথার মানুষ, কলকাতা ময়দানে সফল কোচ। ছোট দলের কোচ হিসেবেও বড় দলের থেকে পয়েন্ট কেড়েছেন। এই ধরনের কোচদেরই দরকার হয়, যারা দলের সীমাবদ্ধতা বুঝে দলকে খেলানোর ক্ষমতা রাখেন। নেই, নেই বলে কান্নাকাটি করে না।

বাংলা দলটি এবার তারকাহীন, নেই কোনও তথাকথিত বড় তারকা। আইএফএ সচিবও বড় দলের কাছে ফুটবলার চেয়ে ভিক্ষে করেননি, তিনি যা পেয়েছেন, তাই দিয়েছেন কোচকে। রঞ্জন নিজের মতো করে দলটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। দলটিকে একটা ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

আজ সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ম্যাচ শুরু কেরল ও বাংলার মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ। ঘরের মাঠের সামনে খেলবে কেরল। বাংলার প্রতিপক্ষ শুধু কেরল নয়, বরং মাঠের হাজার হাজার দর্শকও। সমানে গ্যালারি থেকে বাংলার বিরুদ্ধে স্লোগান উঠবে, এই চাপ সামলে ভাল খেলা কঠিনই। তাই বাংলাকে চাপ কাটিয়ে উঠতে গেলে শুরুতেই গোল পেতে হবে। ম্যাচের বয়স যত বাড়বে, ততই চাপ সৃষ্টি হবে বাংলা দলের ডিফেন্সের ওপর। আসল কাজ সারূে হবে শুরুতেই।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news