ঢাকাকে হারিয়ে কুমিল্লার টানা চার জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিপিএল ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৬০ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সোমবার ২৩ জানুয়ারি টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের শেষে থাকা ঢাকা ডমিনেটর্স।

মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলীয় ৪ রানে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

তবে দলীয় ৩৫ রানে ফের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। ক্রিজে আসা জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন কায়েস। তবে দলীয় ৬৪ রানে ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন তিনি।

কায়সের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জনসন চার্লস। তবে দলীয় ৯৩ রানে রান আউটে কাটা পড়েন জনসন চার্লস।

জনসনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন খুশদিল শাহ। এরপর দলীয় ১২২ রানে ১১ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুতই আউট হন খুশদিল শাহ। ১৭ বলে ৩০ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জাকের আলি ১০ বলে ২০ ও রনি ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে নাসির হোসেন নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।  

১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমদিকেই চাপে পড়ে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। দলীয় ১৬ রানেই তিন ব্যাটারকে হারায় নাসিরের দল। ৮ বলে ৫ রান করে ওপেনার মিজানুর রহমান, ৭ বলে ৩ রান করে সৌম্য সরকার ও ১১ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ মিথুন মাঠ ছাড়েন।

অধিনায়ক নাসির হোসেন ও উসমান ঘানি মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৪২ রানে ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন নাসির। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুল হক। দলীয় ৬২ রানে ১৫ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি।

দলীয় ৭৬ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ বলে ৯ রান করে মুক্তার আলি ও ১ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান আমির হামজা। পর পর দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও তা করতে পারেননি প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাসিম শাহ।

এরপর দলীয় ৭৯ রানে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারে দলীয় ১০১ রানে ৩৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন উসমান ঘানি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নাসিম শাহ।

এনবিএস/ওডে/সি

news