শেরপুরের গারো পাহাড়ে আবারও হাতির মৃত্যু

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেষা গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রের পশ্চিম উত্তর এলাকার বেরবেরি নামক স্থান থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে একটি পুরুষ বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে দু’তিনদিন আগে এ হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বন্য হাতির বিচরণ ও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আজ ৩ জুন শুক্রবার হাতিটির ময়না তদন্ত শেষে মাটি চাপা দেবার কথা রয়েছে। 

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গজনী অবকাশ কেন্দ্রের পশ্চিম উত্তর এলাকার বেরবেরি নামক স্থানের ১১০১ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে এ বন্য হাতিটির মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগ, প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃত বন্য হাতিটির পেট ফুলে গেছে ও দেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাতির পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং কে বা কারা হাতির দাত খুলে নিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসী ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের ধারণা ভারতের মেঘালয় থেকে দেশিয় অস্ত্র বল্লম বা অন্য কিছু দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশে এসে কয়েকদিন আগেই এটি মারা গেছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, বন্য হাতিটি পুরুষ এবং এটির বয়স আনুমানিক ১৫-২০ বছরের হতে পারে। হাতিটি আঘাত জনিত কারণে মারা যেতে পারে, কারণ হাতিটির পিঠে বড় ধরণের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটির দাতও নিয়ে গেছে কেউ।
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকতা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ জানান, হাতিটি কিভাবে মারা গেল তা ময়না তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ছয়মাসে শেরপুর জেলায় চারটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। গত দুই যুগে মৃত্যু হয়েছে অর্ধ শতাধিক হাতির।
 

news