তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই গঠন হতে যাচ্ছে তথ্য কমিশন। ইতোমধ্যেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিশন গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এই সভার আয়োজন করে তথ্য কমিশন।

উপদেষ্টা বলেন, তথ্য অধিকার আইন সংশোধনে সরকারের আন্তরিকতা স্পষ্ট। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে আইনের কিছু ধারা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অংশীজনের মতামতও গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে আইনটি আরও কার্যকর হয়।

তিনি আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলো কাজ করছে। জনগণের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো তথ্যের স্বাধীন প্রবাহ নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশগত তথ্য শুধু জনসচেতনতা নয়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একইসঙ্গে তিনি প্রযুক্তিগত বৈষম্য হ্রাসের ওপর গুরুত্ব দেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আলোচনা সভায় জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে নতুন তথ্য কমিশন গঠিত না হওয়ায় অনেক তথ্য-সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি হয়নি। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি দ্রুত কমিশন গঠনের দাবি জানান এবং প্রস্তাব দেন যে রাজনৈতিক দল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকেও তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা উচিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য কমিশনের সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।

‘পরিবেশের তথ্য ডিজিটাল যুগে হোক সুনিশ্চিত’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত এই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক এ. কে. এম. আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

news