তানজিন তিশাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম

বিনোদন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী তানজিন তিশার অপেশাদার আচরণ ও বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজপথে  মানববন্ধন করলেন সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন  করেন।  এতে অংশ নেন  টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও রেডিওতে নিয়োজিত বিনোদন বিভাগের সংবাদকর্মীরা।

এসময় তারা বিনোদন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তানজিন তিশার অপেশাদার আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় বক্তারা তানজিন তিশা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তার সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, এই শিল্পী যেভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ, হুমকি,দমকি এবং ডিবি অফিসে অভিযোগ করেছেন—আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি অন্য ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে পারত। সাংবাদিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করতে পারত। এতে সমাধান না এলে সে অন্য ভাবে ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে পারত। সে যেটি করেছেন এটা অন্যায়। সে তার ক্ষমতা দেখানোর অপচেষ্টা করেছেন। আমি অভিনয় শিল্পী সংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। সে কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা না চাইলে আমরা আরও কঠোর হব। প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থাও নিতে বাধ্য হব।

তানভীর তারেক বলেন, আমি এ অভিনেত্রীর নাম মুখে আনতে চাই না। তবে তার আচরণ খুবই অপেশাদার। তিনি সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেয়ার হুমকি তো দিয়েছেনই আবার ডিবি অফিসে গিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এর তীব্র নিন্দা জানাই।

নাজমুল আনম রানা বলেন, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর একটি প্রথম সারির গণমাধ্যম। তিশার যদি কোনো অভিযোগ থাকে তবে সে আমাদের জানাতে পারত। কিন্তু সেটা না করে সে হুমকি ধমকি দিয়েছে। পাশাপাশি ডিবি অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেছে। আমাদের চ্যানেল তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষ বলবে। তবে আমি মনে করি তার এমন আচরণ অপেশাদার।  আরও বক্তব্য রাখেন, নিপু বড়ুয়া,জাহিদ আকবর রুমা, মাজহার বাবু প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন আল কাছির।

প্রসঙ্গত, তানজিন তিশার সঙ্গে সাংবাদিকদের দূরত্বের সূত্রপাত হয় অভিনেত্রীর ‘আত্মহত্যাচেষ্টা’র খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৫ নভেম্বর মধ্যরাতে অচেতন তিশাকে তার বোন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর এই খবরটি গণমাধ্যমে চলে আসে।  চ্যানেল টোয়েন্টিফোর-এর সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম তামিম একটি তথ্য জানতে চেয়ে তিশার কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠান। এরপর তিশা ফোন করে তামিমসহ সাংবাদিকদের একচেটিয়া হুমকি-ধমকি দেন। উড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন। একদিন পর উল্টো তিশা ডিবি অফিসে গিয়ে তামিমের নামে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ করেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news