গিনিতে সংবাদমাধ্যমের ধর্মঘট পালন

গিনির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখিয়েছে দেশটির বেসরকারি ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের ওপর জান্তা সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো এক দিনের জন্য সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ থেকে বিরত ছিল।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির স্পেস টিভি ও কালাক টিভি একটি ইমেজ পোস্ট করে। সেখানে দেখা যায় যে, দেশটির জাতীয় পতাকার রং লাল, হলুদ ও সবুজের পটভূমিতে দুটি হাত ইস্পাতের প্রতিবন্ধকগুলোকে ঠেলে দিচ্ছে। ছবির নিচে লেখা ছিল ‘গণমাধ্যমকে ছাড়া একটি দিন’। অন্যান্য সংবাদ প্রতিষ্ঠান বিষয়টিকে নানাভাবে দেখিয়েছে। আর রেডিও স্টেশনগুলো শোকের গান বাজিয়েছে।

ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার আফ্রিকা ভিশন গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি রেডিও স্টেশন বন্ধ করে দেয় এবং জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করে দেয়। পাশাপাশি ‘জাতীয় ঐক্যকে ক্ষুন্ন’ করলে যেকোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার গণমাধ্যমগুলো এ প্রতিবাদের ঘোষণা দেয়।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে দেশটির টেলিকমিউনিকেশনস মন্ত্রী উসমানে গাওয়াল দিয়ালো আফ্রিকান ভিশনের বিরুদ্ধে কোনো দমন–পীড়ন বা ইন্টারনেট ব্লক করার কথা অস্বীকার করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল দেশটিতে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলফা কন্ডে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জান্তা সরকার ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের স্বার্থে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে বলে দাবি করে।

কিন্তু গত বছর দেশটিতে সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর এরই মধ্যে তারা বিরোধী দলগুলোর অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্য অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। বিরোধীরা বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানী কোনাক্রিতে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news