ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে জার্মানি, যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে সংঘাতে জার্মানির এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। হলোকাস্ট গণহত্যায় ৬০ লাখ ইহুদী নিধনকারী দেশ জার্মাানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দায়বদ্ধতা রয়েছে। একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন আনালেনা বেয়ারবক।

ডিডাব্লিউকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলোকে একত্রে এই সংঘাতের মীমাংসা করতে হবে। আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র তৈরি না হলে ইসরায়েল-গাজা সংঘাত শেষ হবে না।’

কী এই আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র? বেয়ারবক ইউরোপের অন্য একটি সংঘাতের উদাহরণ টেনেছেন এই উত্তর দিতে। তার বক্তব্য, যেভাবে বলকান যুদ্ধের অবসান ঘটানো হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এই সংঘাতেরও সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। বেয়ারবক ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুই দেশের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। একমাত্র ওই তত্ত্বই গাজায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যেভাবে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তার প্রত্যুত্তর দেওয়ার অধিকার ইসরায়েলের আছে। আর সে কারণেই দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি সমর্থন করছে না তার দেশ জার্মানি।

বস্তুত, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ কেউই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির দাবি করছে না। ইসরায়েলের কাছে তারা যুদ্ধের স্বল্প সময়ের বিরতির আবেদন জানাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে বেয়ারবক জানিয়েছেন, সংঘাতে দীর্ঘ বিরতি হলে হামাস নিজেদের ফের সুসংগঠিত করতে সক্ষম হবে। হামাসকে কোনোভাবেই সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। সে কারণেই দীর্ঘ বিরতি সমর্থন করে না জার্মানি। তবে একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায় জার্মানি।

তিনি বলেছেন, ইহুদিদের জন্য আলাদা দেশের পক্ষে ছিল জার্মানি। সে দেশকে রক্ষা করতেও দায়বদ্ধ তারা। নাৎসি আমলে জার্মানিতে যেভাবে ইহুদিদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, সে প্রসঙ্গ টেনে এনে বেয়ারবক জানিয়েছেন, নাৎসি পরবর্তী জার্মানি ইহুদিদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে দায়বদ্ধ।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news