গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির চুুক্তি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালন শুরু

ফিলিস্তিনের গাজায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলা বন্ধে বড় অগ্রগতি হয়েছে। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা চার দিনের বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। কাতার এ প্রস্তাবে মধ্যস্থতা করেছে। বুধবার(২২ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের এ খবর প্রকাশ পায়।  

ইসরায়েলের গণমাধ্যম চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানায়, চুক্তিটি বৃহস্পতিবার(২৩ অক্টোবর) বা শুক্রবার থেকে কার্যকর হতে পারে। ৫০ জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল তার কারাগারে আটক ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু-কিশোরকে মুক্তি দেবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স দেয়া এক পোস্টে বুধবার সকালে জানিয়েছে যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা ঘোষনা করা হবে। মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কাতারের যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করে কাতার। এর আগে এ প্রচেষ্টা সফল হওয়ার কথা ঘোষণা দেয় দোহা। এ বিরতির সময় পরে বাড়তে পারে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি আশা করেছেন এর মধ্য দিয়ে এ সংঘাতের অবসান ঘটবে।

পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত জানান, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তাদের হাতে বন্দী থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আপাতত বন্ধ রাখবে ইসরায়েল।  এ সময় যুদ্ধবিরতিকালে গাজায় জ্বালানিসহ ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

হামদাহ সালহুত আরও জানান, যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দিদেরকে মুক্তি দেবে।  

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি। আর জিম্মি হিসেবে আটক হন ২৪০ জন। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ফিলিস্তিনে ১৪ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই শিশু ও নারী। উদ্বাস্তু হয়েছে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news