পিছিয়ে গেল গাজার যুদ্ধবিরতি

যুদ্ধবিরতির চুক্তির পরও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুক্রবারের আগে হামলা বন্ধ করবে না ইসরায়েল। এর আগে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তি দেবে না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসও। গত বুধবার রাতে এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা।

ইসরায়েল সরকার ও হামাস বুধবার যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে গাজায় চার দিন ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল। এ ছাড়া চুক্তির আওতায় অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ইসরায়েলের। পাশাপাশি গাজায় আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

পরে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান হানেগবির জানান, শুক্রবারের আগে গাজায় হামলা বন্ধ করবেন না তারা এবং শুক্রবারের আগে হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া কাউকে মুক্তি দেওয়া হবে না। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। হানেগবির বক্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও।   

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। সেদিন ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস। হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরই গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় গাজার সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে  বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত যেসব জিম্মি মুক্তি পাবে তাদের নাম চূড়ান্ত না হচ্ছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি হবে না। এতে কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়টি একটি ধাক্কা খেল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও যুদ্ধ চলবে। হারেৎজ নামে ইসরায়েলি অপর এক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় লড়াই থামবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সময়সীমা নিয়ে চুক্তি না হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি হতে দুই পক্ষেরই সমর্থন ও স্বাক্ষর লাগবে। যেটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে।’

এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, কাতারের মধ্যস্থ্যতায় বৃহস্পতিবার থেকে হামাস ও ইসরায়েল ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগারে অবৈধভাবে আটকে রাখা ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এছাড়া গাজায় বিপুল মানবিক সহায়তা পৌঁছার সুযোগ দেওয়া হবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news