গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৪১২

 অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের দুই মাসেরও বোশি সময় ধরে চলছে ভযাবহ হামলা। রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অঞ্চলটি মর্ত্যের দোযখে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। নির্বিচার ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন অ ৫০ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। 

তারা জানায়, কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ২০৭ জন নিহত এবং  ৪৫০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় উপত্যকাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও অন্তত ৮ হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গত অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৭ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। 


মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে বোমা হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মিসরীয় সীমান্তের কাছে রাফাহ ক্রসিংয়ের দক্ষিণে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় মঙ্গলবার অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানকার এক তৃতীয়াংশেরও কম হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা আংশিকভাবে চালু আছে। 

ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের পর বলেছেন, গাজার লোকজন ‘মর্ত্যের দোযখের’’  আজাবে রয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় বেশিরভাগ ভূখণ্ডেই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news