বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরও কেন ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করছে না : সিএনএন বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার গাজার উত্তরাঞ্চলে মাত্র একটি হামলায় অনেক কর্মকর্তাসহ ১০ সৈন্য নিহত হয়। ইসরায়েল ২৭ অক্টোবরের স্থল হামলা শুরুর পর এটি হল ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর সবচাইতে ভয়াবহ হামলা। 

এ খবরে ইসরায়েলে ব্যাপক শোকের সৃষ্টি হয়। ৭ অক্টোবরের হামলার ঘা না শুকাতেই এ বড় হামলার ঘটনা ঘটল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা যুদ্ধের প্রতি ইসরায়েলের জনসমর্থন দুর্বল করবে না। তাদের মনোবল এখনো বেশ দৃঢ় রয়েছে।

স্থল হামলা শুরুর পর মোট ১১৬ সেনা খোয়ানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল, যা গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের তুলনায় অতি নগন্য। গাজায় মঙ্গলবার পর্যন্তু নিহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪১২ জন ফিলিস্তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি সেনারা ছোট জায়গা গাজার ২২ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত নারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মিরি এইসিন বলেছেন, বেসামরিক লোকজনের ব্যাপক হতাহতের ঘটনার পরও ইসরায়েলিরা হামাসের সামরিক সক্ষমতার বিনাশ দেখতে চায়।

এইসিনের স্বামী ও তিন সন্তানের সবাই এখন সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ নয় যে আমি আমার সন্তানদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। এর অর্থ এও নয় যে হামাসকে ধ্বংস করা ছাড়া আমি কিভাবে এ দেশে বসবাস করবো তাও আমি জানি না

মারাত্মক দুরবস্থার মধ্যে হাসপাতালগুলোতে কর্মরত ৭০ ডাক্তার-স্বাস্থ্য কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাদের হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি এক অভাবনীয় যুদ্ধের বার্তা পৌঁছে গেছে। আইসিন ইসরায়েলের প্রথম দফা হামলা বিমান ও কামাল হামলার মধ্যে সীমিত ছিল। তাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন। কারণ সামরিক শক্তিতে হামাসের চেয়ে অনেক বলীয়ান ইসরায়েলি সেনারা দূরে নিরাপদেই ছিল।

কিন্তু ২৭ অক্টোবর স্থল হামলা শুরুর পর ভারসাম্য অন্যদিকে ঘুরে যায়। হামাস বহুদিন ধরে যুদ্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্ততি নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। তারা সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। স্থাপন করেছে নানা ফাদ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেকারণে এবাবের স্থলযুদ্ধ ২০১৪ সালের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। সে যুদ্ধ চলেছিল ৫১ দিন এবং তাতে নিহত হয়েছিল মোট ৬৭ ইসরায়েলি সেনা।

শহরের যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রতিরোধকারীরা সব সময়ই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকেন। হামাস এই শহর এলাকায় নিজেদের মতো করে মাটির নীচে সুরক্ষিত সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। সাফল্য পেতে হলে ইসরায়েলি সেনাদেরকে স্থানীয় সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে।

কংগ্রেস সদস্যদের চাপ সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসন পরিস্কার করে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানে কোন শর্ত আরোপ করবে না।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news