গাজায়  আল-জাজিরার ক্যামেরাম্যান নিহত, আহত সেই ব্যুরো প্রধান

 সামের আবুদাকা আল-জাজিরা আরবির সাংবাদিক হিসেবে কাজ কারতেন। তিনি একজন ক্যামেরাম্যান ছিলেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আল-জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ। গত অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলায় তিনি স্ত্রী-সন্তান হারিয়েছিলেন। 

শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় কর্তব্য পালনকালে তারা ইসরায়েলি হামলায় হতাহত হন। ঘটনার সময় আবুদাকাকে নিয়ে সেখানকার ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার সংবাদ প্রচার করছিলেন দাহদুহ। সামের হলেন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আল-জাজিরা ১৩তম সাংবাদিক

গত ২৬ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় আল–জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহর স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও এক নাতি নিহত হন। 

ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকায় ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারীরা আহত সামের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। এতে একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। আর হাতে আঘাত পাওয়া দাহদুহ কোনোমতে সেখানকার নাসের হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হন। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফারহানা স্কুলের আশপাশে শুক্রবার ভারী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

সামের আবুদাকার নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে)। নিন্দা জানিয়ে এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি গাজায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করে। গত সপ্তাহে আইএফজের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধে চলতি বছর ৭২ জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

গত ২৬ অক্টোবর দক্ষিণ গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন সাংবাদিক ওয়ায়েল দাহদুহর স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও এক নাতি। ওই ঘটনার সময়ও তিনি গাজা থেকে যুক্ত ছিলেন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারের সঙ্গে। সে সময় অন্য ফিলিস্তিনিদের মতো দাহদুহর পরিবারও ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশ মতো গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাসা ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। তারপরও তারা হামলা থেকে বাঁচতে পারেননি।

ওই হামলায় দাহদুহর এক ছেলেসহ আরও কয়েক স্বজন আহত হয়েছিলেন। ওই শোক সামাল দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি আবার সংবাদ সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছিলেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news