খালিস্তানপন্থী নেতা পন্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’

নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদীদের হত্যার কৌশল নিয়ে সোমবার সুবিশাল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। 

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সয়াল এক বিবৃতিতে  মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ওই রিপোর্টকে অযৌক্তিক ও অপ্রমাণিত বলে নিন্দা করেছে। 
প্রকাশিত ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার মাটিতে খালিস্তানি নেতা ডি এস পন্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার পিছনে ছিল ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। 

রিপোর্টে দাবি, র-এর তৎকালীন প্রধান সমন্ত গোয়েল এই হত্যার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন, এবং বিক্রম যাদব নামে এক ‘র’ অফিসার এই পরিকল্পনার সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই একটি ঘাতক দল ভাড়া করে পন্নুনের যাবতীয় গতিবিধির কথা তাদের জানিয়েছিলেন, এবং বিক্রম লিখেছিলেন, ‘এই হত্যাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

র’-এর সাবেক ও বর্তমান অনেক অফিসারের সঙ্গে কথা বলার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে, এই দাবি করে সংবাদপত্রটি বলেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও বিষয়টি জানতেন এবং বিদেশের মাটিতে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের হত্যা করাই এখন দিল্লির কৌশল। 

এই রিপোর্ট সম্পর্কে ডোভাল, বা গোয়েল কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বলে সংবাদপত্রটির দাবি। 

 রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ওই হত্যার ব্যর্থতার পরে ‘অনভিজ্ঞ’ যাদবকে ভারতের আধাসেনায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক যাতে ধাক্কা না খায়, সে জন্য আমেরিকার আদালতে এই ঘটনা সম্পর্কে দেওয়া চার্জশিটে বিক্রমের নাম না করে ‘ষড়যন্ত্রী সিসি-ওয়ান’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, নাম করা হয়নি ‘র-’এর। এই ঘটনায় শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তকে।

পোস্টের দাবি, বিক্রম এবং গুপ্তের আগাগোড়াই গভীর যোগাযোগ ছিল। কানাডার মাটিতে নিহত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের দেহের ছবিও বিক্রম গুপ্তকে পাঠিয়েছিল। 

মার্কিন গোয়েন্দারা বহু দিন ধরে নজর রেখে জানতে পেরেছিলেন, হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে খুনের দায়িত্ব নিখিল গুপ্ত প্রথমে একটি ভাড়াটে ঘাতক দলকে দিয়েছিল, পরে অন্য একটি দল তা করে বলে সংবাদপত্রের দাবি। রিপোর্টে দাবি, নিখিল এবং বিক্রমের কথোপকথন প্রথম দিকে মাদক ব্যবসা নিয়েই হত, পরে হঠাৎ এক দিন নিউ ইয়র্কে এক আইনজীবীকে হত্যা নিয়ে দু’জনের আলোচনা শুরু হয়।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news