কঙ্গোয় ১৫০ নারী বন্দিকে গণধর্ষণের পর হত্যা, জাতিসংঘের তীব্র নিন্দা
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) গোমা কারাগারে ভয়াবহ নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে। বন্দি থাকা ১৫০ জনেরও বেশি নারীকে গণধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কিছু বন্দিই এই ভয়াবহ অপরাধের জন্য দায়ী।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র সাইফ ম্যাঙ্গাঙ্গো জানান, ১৬৫ জন নারী বন্দি যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পরে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। মাত্র ৯ থেকে ১৩ জন কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও, তারাও ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, *“আমরা স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদন যাচাই করিনি, তবে এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বলে মনে করছি।”*
২৭ জানুয়ারি, এম২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে ৪ হাজারের বেশি বন্দি মুজেঞ্জে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় কিছু বন্দি আগুন ধরিয়ে দেয়, যাতে নারী বন্দিরা আটকা পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের সহযোগী গণমাধ্যম রেডিও ওকাপি জানায়, এই ঘটনায় কিছু বন্দিকে হত্যা করলেও অধিকাংশ পালাতে সক্ষম হয়। কারাগারটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, *"সরকার এই বর্বর অপরাধের তীব্র নিন্দা জানায়।”*
মধ্য আফ্রিকার এই দেশটিতে যুদ্ধ ও সংঘাতের ফলে যৌন সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের আরেক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জানিয়েছেন, কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্র বাহিনীর বিরুদ্ধেও ৫২ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গোমার নিয়ন্ত্রণ দাবি করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ বর্তমানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেখানে চলমান সংঘর্ষে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


