গাজায় চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ভেতরেই প্রতিবাদ তীব্রতর হয়ে উঠছে। যুদ্ধের ২০ মাস পার হলেও থেমে থাকেনি সমালোচনা। এবার নিজ দেশের নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাবেক সেনা, রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ। যুদ্ধ থামাতে সরাসরি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ইসরাইলি সমাজে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব দ্রুত বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন করে অনেকেই এই সহিংসতার বিরুদ্ধে যুক্ত হচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা গাজায় আটক বন্দীদের মুক্তির পাশাপাশি যুদ্ধ অবসানের দাবিতে রাস্তায় নামছেন।
সম্প্রতি তেলআবিবসহ ইসরাইলজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে শতাধিক মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচি, যেখানে ফিলিস্তিনে নিহত শিশুদের ছবি নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
ইসরাইলের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোও এই যুদ্ধবিরোধী সুরে সামান্য হলেও সাড়া দিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ইয়েদিয়ুথ আহারোনোত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গাজায় অনাহারে একটি শিশুর মৃত্যুর করুণ ছবি ও প্রতিবেদন।
এমনকি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট হারেৎজ পত্রিকায় লিখেছেন, “আমরা গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছি। এটি আর কোনো আত্মরক্ষার লড়াই নয়, এটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।”
সাবেক উপ-সেনাপ্রধান ইয়ার গোলান বলেছেন, “ইসরাইল একটি ঘৃণিত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। যদি এখনই থামি না, আমরা ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করবো।”
যুদ্ধবিরোধী এসব আওয়াজ ইঙ্গিত দেয়, দখলদারিত্বের ভিত শুধু বাইরের নয়, ভেতর থেকেও নড়বড়ে হয়ে উঠছে। এখন প্রশ্ন, এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নেতানিয়াহুর নীতিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারবে?


