ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যেই দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে মুখ খুলেছে লেবাননের প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাইম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেন, “আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার হুমকি এই পুরো অঞ্চল এবং মুসলিম বিশ্বে আগ্রাসনের নতুন মাত্রা।” তিনি সরাসরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উসকানিমূলক’ বলে আখ্যা দেন।

যদিও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি হামলার পরও বেশ কিছুদিন নীরব ছিল, তবে এবার স্পষ্ট করে তারা জানিয়ে দিয়েছে—যেকোনো সময় পরিস্থিতি অনুকূল মনে হলে তারা সংঘাতে অংশ নিতে প্রস্তুত।

নাইম কাসেম বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ নই। ইরানের বৈধ অধিকার রক্ষায় ইসলামী প্রতিরোধ সবসময় প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সময়ে আমরা জবাব দেব।”

এদিকে হিজবুল্লাহকে এই সংঘাত থেকে দূরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কবার্তা দিয়েছে। সিরিয়ার জন্য মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক বলেন, “হিজবুল্লাহ যদি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ভয়াবহ সিদ্ধান্ত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে আছেন।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাতে হিজবুল্লাহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে এবং শীর্ষ নেতাদের অনেকে নিহত হন। যদিও এবার দলটি সরাসরি হস্তক্ষেপে আগ্রহ দেখায়নি, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য জোটবদ্ধ প্রতিরোধের পূর্বাভাস।


 

news