পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে জল্পনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্ব্যর্থহীন বক্তব্যে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধে নামতেও পারেন, নাও পারেন। তবে রাশিয়া এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ক্রেমলিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সতর্ক করে বলেছেন, "আমেরিকা যদি ইরানে হামলা চালায়, তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।"

এই হুঁশিয়ারি নতুন প্রশ্ন তুলেছে—ট্রাম্প যদি যুদ্ধে জড়ান, তাহলে কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের পক্ষ নেবেন? ইতিমধ্যে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের দাবি, আমেরিকা ইরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। যদিও হোয়াইট হাউস এই খবর নিশ্চিত করেনি। অন্যদিকে, সিএনএন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের একাংশ চাইছেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়াক।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্পও দাবি করেছেন, খামেনেইকে গুপ্তহত্যা করা তার জন্য সহজ, তবে এখনই তা করা হবে না। পুতিন এই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়ালেও ইরানের রাজনৈতিক ঐক্যের প্রশংসা করেছেন।

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সপ্তম দিনেও শান্তির লক্ষণ দেখা যায়নি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বেরশেবা শহরের একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬৫ জন। এর জবাবে নেতানিয়াহু ইরানকে "মূল্য চুকানোর" হুমকি দিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টও একই সুরে ইরানের বিরুদ্ধে জবাবি হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এই সংকটে রাশিয়া-ইরান মিত্রতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এখন পুতিন যদি ইরানের পাশে দাঁড়ান, তাহলে সংঘর্ষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। বিশ্বজুড়ে চলছে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির ওপর নজর।

news