ইরানের টানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চাপে পড়েছে ইসরাইলের বহুল প্রচারিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যদিও ইসরাইল দাবি করছে ‘রাইজিং লায়ন’ অভিযানে তারা কৌশলগত সাফল্য পেয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ইসরাইলের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান গত সপ্তাহে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে ইসরাইল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো সিস্টেম এবং যুক্তরাষ্ট্র-সরবরাহকৃত প্যাট্রিয়টস ও থাড ব্যবহার করেছে। তবে এসব ব্যবস্থার ব্যয় এত বেশি যে প্রতিরাতে গড়ে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। শুধু অ্যারো সিস্টেমের প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের দাম প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার।
তেল আবিব দাবি করছে, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস করেছে তারা এবং আকাশে ‘আংশিক শ্রেষ্ঠত্ব’ অর্জন করেছে। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা সতর্ক করেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের অর্ধেকেরও বেশি এখনো অক্ষত এবং অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ভূগর্ভস্থ বাংকারে লুকানো রয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো—এভাবে ইরান হামলা অব্যাহত রাখলে ইসরাইল হয়তো আর মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষায় বিপর্যয় ঘটতে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ভারসাম্যকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।


