মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করার একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইরানবিষয়ক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ইরানের জাতিসংঘ সনদ অনুসারে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।”
পাকিস্তান আরও বলেছে, “চলমান আগ্রাসনের ফলে পুরো অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।” দেশটি দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে।
এই বিবৃতির আগে, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ২০২৬ সালের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক সুপারিশ করছে। পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নেতৃত্বে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে ট্রাম্পের “কূটনৈতিক ভূমিকা”কেই মনোনয়নের পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়।
এরই মধ্যে ট্রাম্পও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। রোববার তিনি বলেন, “আমরা ইরানের ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছি। এই হামলা ছিল বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য একটি সাফল্য।”
ট্রাম্প ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসের কেন্দ্র’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “তারা যদি শান্তির পথে না আসে, তাহলে পরবর্তী হামলাগুলো আরও শক্তিশালী হবে। আমাদের হাতে এমন লক্ষ্য রয়েছে, যা মিনিটের মধ্যেই ধ্বংস করা সম্ভব।”
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের দ্বিমুখী অবস্থান বিশ্ব কূটনীতিতে প্রশ্ন তুলেছে।


