মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে সব কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল সফলভাবে ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি দূর করেছে। তেহরানের আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশটির সামরিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলোতে বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও মোসাদের প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অভিযানকে ‘সম্পূর্ণ সাফল্য’ হিসেবে ঘোষণা দেন।

ইসরায়েল বলেছে, যুদ্ধবিরতিতে তারা সম্মত হলেও হামলা বন্ধ না হলে কড়া জবাব দেওয়া হবে।

এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েল ১২ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের অবসানে ‘পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, “সবকিছু পরিকল্পনামতো চললে, আমি উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানাই সাহস ও বুদ্ধিমত্তার জন্য।”

তবে ইরানের পক্ষ থেকে সতর্ক শর্ত সাপেক্ষে প্রতিক্রিয়া এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি ‘এক্স’-এ এক পোস্টে বলেন, “ভোর ৪টার মধ্যে ইসরায়েল যদি তাদের আগ্রাসন বন্ধ না করে, তাহলে ইরানের প্রতিক্রিয়া চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলই যুদ্ধ শুরু করেছে। আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হইনি। তবে আগ্রাসন বন্ধ হলে আমরাও হামলা বন্ধ করব।”

আল জাজিরা জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির মধ্যস্থতায় ইরান যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করেছে। তবে চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনও সতর্কতার মধ্যেই রয়েছে।

news