ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো ইউরোপের শক্তিধর দেশ ফ্রান্সসহ মোট ছয়টি দেশ। এর মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘের ভেটো ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকিরা এখন ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ালো।
সোমবার জাতিসঙ্ঘের বিশেষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাক্রোঁ বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলো ফ্রান্স।” তিনি আরও যোগ করেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের যা কিছু করার, সেটি করা এখনই দায়িত্ব।”
তবে এমন ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পরও গাজার চিত্র ভয়াবহ রয়ে গেছে। সোমবারই ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
একই দিনে স্বীকৃতি দেওয়া অন্যান্য দেশ
ফ্রান্সের পাশাপাশি বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মালটা, মোনাকো ও আনদোরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, “ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষ গাজায় যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, সেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।”
তিনি কাতারসহ আরব দেশগুলোর ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলারও তীব্র সমালোচনা করেন। তার দাবি, “ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান।”
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ছিল না
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে রোববারই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।


