পাকিস্তানের ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (এফবিআর) সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, যারা সামাজিক মাধ্যমে তাদের অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবন প্রদর্শন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা প্রিমিয়াম গাড়ি, বড়-বড় বাংলো, মূল্যবান গহনা এবং ব্যয়বহুল বিয়ের অনুষ্ঠান প্রদর্শন করছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা আয়কর রিটার্ন হালনাগাদ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধনীর জীবন পর্যবেক্ষণ
এফবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা ভিডিও ও ছবি দিয়ে তাদের ধনসম্পদ দেখাচ্ছেন, তাদের উপর নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠান, ব্যয়বহুল পোশাক ও মূল্যবান গহনার প্রদর্শনী বিশেষ মনিটরিংয়ের আওতায়।
কর্তৃপক্ষের দাবি, কিছু ধনী ব্যক্তিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০ হাজার ডলারের কস্টিউম পরে দেখা গেছে, যা তাদের বিলাসবহলের প্রতীক। এই ধরনের প্রদর্শনী অবশ্যই আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
তথ্য সংগ্রহ ও অডিট
এফবিআর-এর বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া দল প্রায় ১ লাখ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেছে, যারা আয়ের তুলনায় অত্যধিক বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত বছরের কর রিটার্নের সঙ্গে চলতি বছরের রিটার্ন তুলনা করে বৈষম্য চিহ্নিত করা হবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মোট কর রিটার্নের প্রায় ৮০ শতাংশ অডিট করা হবে। যারা সম্পদ বা আয় লুকাচ্ছেন, তাদেরকে আয়ের উৎস ব্যাখ্যা করতে বলা হবে।
বিয়ের অনুষ্ঠান ও বিলাসবহুল খরচে নজর
এই অভিযান বিয়ের অনুষ্ঠান ও বিলাসবহুল খরচকেও কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। এফবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন খরচ অবশ্যই হালনাগাদ আয়কর রিটার্নে প্রতিফলিত হতে হবে, না হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সতর্কতা ও পরামর্শ
এফবিআর স্পষ্ট করেছে, যারা সঠিক ও হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে বিলাসবহুল খরচ বা লাক্সারি সম্পদ প্রদর্শন না করলে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে।
কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের দ্রুত কর রিটার্ন হালনাগাদ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


