দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার খরচ বাড়ানো হলো ব্যাপক হারে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার গুনতে হবে আবেদনকারীদের। এতে বিকল্প ভিসা খুঁজছেন অনেকেই, আর তাতেই বেড়ে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের চাহিদা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন ভিসার খরচ বৃদ্ধির পর এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে ইউএই’র গোল্ডেন ভিসা, ফ্রিল্যান্স ভিসা ও রিমোট ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে।

দুবাইভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জেএসবির প্রতিষ্ঠাতা গৌরব কেশওয়ানি বলেন, “আমেরিকা থেকে ইউএই ভিসা সংক্রান্ত অনুসন্ধান বেড়েছে অনেক। উচ্চ ভিসা ফি-এর কারণে অনেক এইচ-১বি ও গ্রিন কার্ডধারী এখন দুবাইয়ে বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ মেয়াদি বসবাসের কথা ভাবছেন।”

তিনি আরও জানান, “এতে গোল্ডেন ভিসা, রিমোট ও ফ্রিল্যান্স ভিসার চাহিদা বাড়বেই। মার্কিন কর্মীরা হয়তো দুবাইতে ছোট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন, যা মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকবে অথবা সরাসরি ফ্রিল্যান্স ভিসা নেবেন।”

কেশওয়ানির মতে, অনাবাসী ভারতীয়দের জন্যও ইউএই অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য। কারণ এখানে যুক্তরাষ্ট্রের মতো জীবনধারা ও আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। এমনকি মার্কিন ডলারের অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। যেহেতু ডলার ও দিরহামের বিনিময় হার স্থিতিশীল, তাই লেনদেনেও ঝুঁকি কম।

ইমিগ্রেশন ফার্ম ফ্রাগোমেনের অংশীদার শায়ান সুলতান মনে করেন, এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধি মার্কিন অভিবাসন নীতির বড় পরিবর্তন। যদিও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, তবে দক্ষ পেশাদার ও বিকল্প আবাসন খুঁজে ফেরা বিনিয়োগকারীদের কাছে আমিরাত আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

তার মতে, ইউএই’র বিশ্বমানের অবকাঠামো, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং করমুক্ত জীবনযাপনই বিদেশি পেশাদারদের টেনে আনবে।

 

news