যুক্তরাষ্ট্রে সব ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্টকৃত ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করেছিল। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ওষুধের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। আমদানির ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ভারত।
তবে ট্রাম্প শর্ত দিয়েছেন, যদি কোনো বিদেশি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের কারখানা স্থাপন করে, তবে তাদের জন্য শুল্ক মওকুফের সুযোগ থাকবে। তবে কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা তিনি স্পষ্ট করেননি। এছাড়া এই নতুন শুল্ক তার আগের প্রতিশোধমূলক শুল্কের (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) সঙ্গে মিলিতভাবে প্রযোজ্য হবে কি না, তাও নিশ্চিত করা হয়নি।
বিশ্ববাজারে এই সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ওষুধ বাজার। এখানে দাম দ্বিগুণ হলে শুধু মার্কিন ভোক্তাদের নয়, রপ্তানিকারক দেশগুলোকেও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আয়ারল্যান্ড, জার্মানি ও ভারতসহ যেসব দেশের অর্থনীতির বড় অংশ ওষুধ রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, তারা কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাতে হঠাৎ এমন শুল্ক আরোপের ফলে সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কংগ্রেস বা আদালত যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। দাম বাড়লে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী।


