যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা গত ২০ বছরে মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ইয়েমেনে ‘শহীদ স্মরণ সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য দেন। খবর মেহের নিউজের।

এক সপ্তাহব্যাপী এই স্মরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
আল-হুথি তার বক্তৃতায় বলেন, “যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদের চেতনা ও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলে, সেই জাতিই গর্বিত এবং বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। শাহাদাত হলো ধ্বংস ও অপমান থেকে রক্ষার এক শক্তিশালী প্রাচীর।”

ইয়েমেনি এই নেতা ইতিহাস টেনে বলেন, “ইসলামী উম্মাহ প্রাচীন যুগ থেকে উপনিবেশিক আমল এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত বড় বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।”
তার ভাষায়, “আমেরিকানরা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে গত দুই দশকে তারা প্রায় ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই ইসলামী উম্মাহর অংশ। তারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তখন, যখন মুসলিম জনগণ ছিল দুর্বল ও বিভক্ত অবস্থায়।”

আল-হুথি আরও বলেন, “ইসরাইল গাজার মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আত্মসমর্পণ করাতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল মুসলিম জাতিগুলোকে মানসিকভাবে দাসে পরিণত করতে চায়। “তারা অন্য দেশ দখল করে সেসব জনগণকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, যেন তারা চিরকাল নির্ভরশীল থাকে।”
তার কথায়, “এই অত্যাচারী শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দয়া বা মানবতা নেই; নিজেদের লক্ষ্য পূরণে তারা যেকোনো অপরাধ করতেও দ্বিধা করে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, আল-হুথির এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত ও গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।

 

news